কর্ণাটকে ভোট প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে গিয়ে একেবারে হাটে হাড়ি ভেঙে দিলেন তিনি। সাফ জানিয়ে দিলেন তেলেঙ্গানার মুখ্য়মন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এনডিএতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। বদলে হায়দরাবাদ পুরসভা ভোটে সমর্থন চাইছিলেন। কিন্তু সেটা প্রত্যাখান করে দিয়েছিলাম।
মোদী বলেন, কর্ণাটকে ভরপুর খাজানা। তেলেঙ্গানা থেকে যা লুঠ করা হয়েছে তা কর্ণাটকে কংগ্রেসকে দেওয়া হয়েছে। যাতে সেখানে কংগ্রেস জিতে যায়। আর এরপর উভয়ে মিলে ( কংগ্রেস আর বিআরএস) এটাই বিআরএসের খেলা। আমি প্রথমবার একটা রহস্য খুলতে যাচ্ছি। আগে কোনওদিন বলিনি। এই প্রথম এই রহস্য খুলে দিচ্ছি। সাংবাদিকদেরও বলে দিচ্ছি যাচাই করে নিন। ১০০ শতাংশ সত্যি বলতে এসেছি আজ। যখন হায়দরাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ভোট হল তখন ভারতীয় জনতা পার্টি৪৮ আসন জিতেছিল। কারোর সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না। কেসিআরের সমর্থনের দরকার ছিল। আপনারা দেখবেন হায়দরাবাদ ভোটের আগে ওরা কীভাবে এয়ারপোর্টে স্বাগত জানাতে আসতেন। মালা পরাতেন। খুব সম্মান করতেন। কিন্তু আচমকা সব বন্ধ হয়ে গেল। কেন আচমকা রেগে গেল। এর কারণ হল হায়দরাবাদ ভোটের পর ওরা দিল্লিতে আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। বড় সংবর্ধনা দিল। এত ভালোবাসা দিল যে সেটা কেসিআরের চরিত্রেই ছিল না। আর এরপর বলল আপনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে। আমিও এনডিএর শরিক হতে চাই। আপনি এনডিএতে আমায় শামিল করে দিন। মিউনিসিপ্যাল ইলেকশনে আমাদের সহায়তা করুন। আমি কেসিআরকে বলেছিলাম হায়দরাবাদে যদি বিপক্ষে বসতে হল বসব, কেসিআরের লোকজন যদি অত্যাচার করে তবে সেটা সহ্য করব। কিন্তু তেলেঙ্গানার জনতার সঙ্গে ধোঁকা দেব না।
মোদী বলেন, আমি তাঁকে বলেছিলাম হাত জোড় করে বলছি আমি সহায়তা করব না। এনডিএতে যোগ দেওয়ার আবেদনও প্রত্যাখান করে দিয়েছিলাম। এরপর আমরা যখন দুর্নীতির প্রসঙ্গ বলি…আর একবার এসে বললেন, আমি প্রচুর কাজ করেছি। এবার সব দায়িত্ব কেটিআরকে দিয়ে দেব। আপনি আশীর্বাদ করে দেবেন। আমি বললাম কেসিআর এটা গণতন্ত্র। তুমি কি রাজা, মহারাজা নাকি? তেলেঙ্গানার মানুষ ঠিক করবেন কাকে বসাবেন। তারপর থেকে একবারও আসেননি। কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত আমার পাশে বসতেও পারেন না।