ওয়ান নেশন ওয়ান ভোট।
কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দাবি, প্রতি ১৫ বছর অন্তর লোকসভা আর বিধানসভা ভোট একসঙ্গে করলে কমিশনকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের জন্য ১০,০০০ কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে। এনিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে অবহিত করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে বলা হয়েছে ইভিএম মোটামুটি ১৫ বছর ঠিকঠাক থাকে। এরপর থেকে নানা সমস্যা তৈরি হতে থাকে। সাধারণত একটি মেশিন দিয়ে তিনটি ভোট করা যায়। যদি তিনটি ভোট একসঙ্গে হয়।
সেই সঙ্গেই নির্বাচন কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, এবছর লোকসভা ভোটের জন্য ১১.৮ লাখ ভোটগ্রহণ কেন্দ্র গড়া হবে। এদিকে একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট হলে দুটি সেট করে ইভিএমের দরকার পড়ে। একটা থাকে লোকসভার জন্য় আর অপরটি থাকে বিধানসভার জন্য।
এদিকে আগের অভিজ্ঞতা অনুসারে বলা যায়, একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক কন্ট্রোল ইউনিট, ব্যালট ইউনিট, ভিভিপ্যাট ইউনিটের মেশিন দরকার পড়ে। যে মেশিনগুলিতে ভোট হয় তার বাইরেও বিপুল সংখ্যক মেশিনের দরকার পড়ে যেগুলি রিজার্ভে রাখতে হয়। মানে কোথাও যদি মেশিন বিগড়ে যায় তবে এই মেশিনগুলি দিয়ে কাজ চালাতে হয়।
একটি ইভিএমের জন্য একটি বিইউ, একটি সিইউ, একটি করে ভিভিপ্যাট মেশিন রাখতে হয়। এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে আইন মন্ত্রকের কাছে একটি চিঠি দিয়েছিল কমিশন। সেখানে লেখা হয়েছিল, একই সঙ্গে দুটি ভোট হলে, ৪৬,৭৫,১০০ টি বিইউ, ৩৩,৬৩,৩০০ সিইউ ও ৩৬,৬২,৬০০ টি ভিভিপ্যাট রাখার কথা।
এদিকে ২০২৩ সালের একটি ইভিএমের জন্য খরচ ধরা হয় ৭৯০০ প্রতি বিইউ, ৯৮০০ প্রতি সিইউ ও ১৬০০০ প্রতি ভিভিপ্যাটের ইউনিটের জন্য় খরচ হয়েছিল।
সেই সঙ্গেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, অতিরিক্ত ভোট কর্মী ও সুরক্ষা বাহিনীর প্রয়োজন রয়েছে। সেই সঙ্গেই কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ২০২৯ সালে একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট করার ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে। সেক্ষেত্রে এই বিরাট উদ্যোগকে সফল করার জন্য নতুন মেশিন, সেগুলি রাখার মতো উপযুক্ত জায়গা সহ অন্যান্য সামগ্রীর অত্যন্ত প্রয়োজন।