লোকসভা ভোটের আগে বিহারের রাজনৈতিক সমীকরণে বড় বদল এনে নীতীশ কুমারের জেডিইউ প্রবেশ করেছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটে। যে জোটে আগে থেকেই ছিল বিজেপির শরিক চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপি, উপেন্দ্র কুশওয়াহর আরএলএম। জেডিইউ, এনডিএ জোটে চলে আসায় এলজেপি ও আরএলএমএর মতো পার্টির আসন সমীকরণে খানিকটা ওলটপালটের জল্পনা! সেই জায়গা থেকে বিহারের আসন বণ্টনের ক্ষেত্রে জটিল অঙ্কের সামনে পড়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ।
এদিকে, বিহারে বিজেপি যখন আসন বণ্টন নিয়ে কঠিন অঙ্কের মুখে, তখন এনডিএ জোটের এলজেপিকে ৮ আসন অফার করে দিয়েছে লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি। অফারে বলা হচ্ছে, যদি চিরাগরা বিপক্ষের ইন্ডি জোটে যোগ দেন, তাহেল উত্তর প্রদেশে ২ টি আসন সহ মোট ৮ আসন এলজেপিকে দিতে চায় ইন্ডি জোট। এলজেপির তরফে বলা হয়েছে,'আরজেডি থেকে এই অফার পেয়েছে দল। এখনও পর্যন্ত তা নিয়ে কিছু বিবেচনা করা হয়নি'। এলজেপি বলছে, আপাতত তারা তাকিয়ে রয়েছে এনডিএতে বিজেপির আসন বণ্টনের দিকে। এলজেপির রাজু তিওয়ারি বলছেন, ‘ অফার করার জন্য এবং চিরাগ পাসওয়ানের গুরুত্ব স্বীকার করার জন্য আরজেডিকে কে ধন্যবাদ জানাই। এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’
এদিকে, বিজেপির শিবিরের খবর, আরএলজেপি আর এলজেপিকে নিয়ে বিজেপি খুব শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবে। উল্লেখ্য, সদ্যই বিজেপি তার পরবর্তী পর্যায়ের প্রার্থী তালিকা নিয়ে হাইভোল্টেজ মিটিং সেরে ফেলেছে। এদিকে, বিহারে চিরাগ পাসওয়ানদের এলজেপি চাইছে ৬ টি লোকসভা আসন। তারমধ্যে বিহারের হাজিপুর আসনটিও তারা চাইছে। এই কেন্দ্রটি আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পশুপতি কুমার পারসের। এই পশুপতিকুমার পারস হলেন আরএলজেপি পার্টির সদস্য। এর আগে অববিভক্ত এলজেপি জিতেছিল ৬ টি লোকসভা আসন। তাঁদের মধ্যে ৫ জন পশুপতি পারসের আরএলজেপি শিবিরে চলে এসেছেন। ফলে এই কেন্দ্র নিয়ে বিজেপির সিদ্ধান্ত বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
এদিকে, বিহারে নরেন্দ্র মোদীর পর পর সভায় অনুপস্থিত থেকে বিজেপির থেকে দূরত্ব ধরে রেখেছেন চিরাগ। যা নিয়ে বিহারের রাজনীতিতে জল্পনা তুঙ্গে। নীতীশ কুমারের শপথের সময় হাজির থাকবেন বলেও, সেদিন চিরাগ উড়ে যান দিল্লি থেকে পাটনা। সেখানে জেপি নড্ডার সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন। বিজেপির সঙ্গে তিনি কথা বলেন, যাতে তাঁদের পার্টিকে ৬ টি আসন দেওয়া হয়। এমনই দাবি সূত্রের। সেই জায়গা থেকে বিহারের অঙ্ক কোনদিকে যায়, সেদিকে তাকিয়ে সকলে।