ঝাড়গ্রামের বিদায়ী সাংসদ কুনার হেমব্রম। এবার আর ঝাড়গ্রাম থেকে টিকিট পাননি কুনার। এরপরই কার্যত গোঁসা হয় বিদায়ী সাংসদের। এরপর তিনি গত ৮ মার্চ দলের রাজ্য সভাপতিকে চিঠি দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি লিখিতভাবে ব্যক্তিগতভাবে দলের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। আর সেই কুনারকে এবার দেখা যাবে ঝাড়গ্রাম লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী কালীপদ সরেনের প্রচারে।
তবে কালীপদর সঙ্গে একটা ব্যক্তিগত সম্পর্কও রয়েছে কুনার হেমব্রমের। কুনারের স্ত্রীর পিসতুতো দাদা হলেন কালীপদ। আর সেই কালীপদর প্রচারে দেখা যাচ্ছে কুনার হেমব্রমকে।
কিন্তু কুনার হেমব্রম এর আগে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেননি। তারপরেও কেন তিনি এভাবে তৃণমূলের প্রচারে পা মেলাচ্ছেন তা নিয়ে ধাঁধায় পড়ে গিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।
আনন্দবাজার সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, কুনার জানিয়েছেন, বড় শ্য়ালক বাড়িতে এসে সহযোগিতা চেয়েছেন। দু চারদিন প্রচারে যেতে হবে। তবে তৃণমূলের ঝান্ডা ধরব না। নিজের দল ছেড়েছি। কিন্তু অন্য কোনও দলে যাব না।
এদিকে কুনারের স্ত্রীর মাসতুতো বোন আবার রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। আর ওই সংবাদমাধ্য়মের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে বীরবাহা জানিয়েছেন, শ্য়ালকের প্রচারে ভগ্নিপতি যেতেই পারেন। উনি তো লিখিতভাবে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগের কথা জানিয়েছেন।
এককথায় একেবারে আজব সমীকরণ। প্রশ্ন উঠছে তবে কি কুনারকে টিকিট না দিয়ে বিপাকে পড়ল বিজেপি? আর কালীপদ বলছেন, উনি আমার সঙ্গে প্রচারে থাকলে একটা বড় প্রাপ্তি।
তবে এভাবে লতায় পাতায় সম্পর্ক, পারিবারিক সম্পর্ক, তার সঙ্গে ভোট বাজারে এভাবে সদ্য বিজেপি ছেড়ে অন্য দলে না গিয়েও তৃণমূলের প্রচারে শামিল হয়ে যাওয়া সব কেমন গুলিয়ে যাচ্ছে ঝাড়গ্রামবাসীর। সেই সঙ্গেই প্রশ্ন উঠছে কুনার হেমব্রম তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচারে গিয়ে আখেরে ঠিক কী বলবেন? এতদিন যিনি রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে এসেছেন তিনি ঘাসফুলে যোগ না দিয়েও কীভাবে তৃণমূলের প্রচারে শামিল হতে পারেন তা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।
তবে কুনার জানিয়েছেন, বড় শ্য়ালক বাড়িতে এসে সহযোগিতা চেয়েছেন। দু চারদিন প্রচারে যেতে হবে। তবে তৃণমূলের ঝান্ডা ধরব না। নিজের দল ছেড়েছি। কিন্তু অন্য কোনও দলে যাব না।
আসলে শ্য়ালকের আবদার ফেলতে পারেননি বিজেপি সাংসদ। তৃণমূলের ঝান্ডা না ধরেও বিদায়ী বিজেপি সাংসদ প্রচার করবেন তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে।