২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহারের শীতলকুচিতে ভোচকেন্দ্রে গুলি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। এরপর থেকেই বঙ্গ রাজনীতিতে শীতলকুচির একটি আলাদা তাৎপর্য তৈরি হয়েছে। ২০২১ সালে শীতলকুলির দায়িত্বে থাকা আইপিএস অফিসার এখন বিজেপিতে যোগ দিয়ে প্রার্থী হয়েছেন বীরভূম থেকে। উত্তরে ভোট প্রচারে গিয়ে মমতার গলাতেও শীতলকুচির উল্লেখ শোনা গিয়েছে বারবার। আর আজ ভোটের দিন সেই শীতলকুচি ফের উত্তপ্ত হল। একাধিক ঘটনায় একে অপরের দিকে আঙুল তুলতে শুরু করেছে বিজেপি এবং তৃণমূল। (আরও পড়ুন: রাত থেকেই উত্তপ্ত কোচবিহার, সকালে দিনহাটায় মার খেলেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি)
আরও পড়ুন: কমিশনে জমা পড়ল ১৫১টি অভিযোগ, 'পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা' নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যপাল
আজ শীতলকুচিতে তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে তৃণমূল। যদিও হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। তবে ২৮৬ নম্বর বুথে এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এরই মাঝে আবর শীতলকুচির গোঁসাইহাট পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপি কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: ‘অনেক মুসলিমের নাম নেই তালিকায়’, UP-তে বুথ দখলের অভিযোগ BJP-র নামে
আজ সকাল থেকেই কোচবিহারেরর অন্যান্য জায়গা থেকেও হিংসার ঘটনা সামনে এসেছে। আজ সকালে দিনহাটা এক নম্বর ব্লক বি-এর তৃণমূল সভাপতি অনন্ত বর্মনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় অভিযোগের তির বিজেপির বিরুদ্ধে। বর্তমানে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। আহত তৃণমূল নেতাকে দেখতে হাসপাতালে যান রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের দাপুটে নেতা উদয়ন গুহ। হাসপাতাল থেকেই নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
এদিকে অপর এক ঘটনায় কোচবিহারে দেওচড়াই গ্রাম পঞ্চায়েতে ৮/২৬১ নং বুথে তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষ ঘটে গতারাতে। এতে আহত হন একাধিক। আহতদের তুফানগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ভোটের দিনও সকাল সকাল কোচবিহারে উত্তেজনা তৈরি হয়। কোচবিহার জেনকিন্স স্কুলের বুথে উত্তেজনা দেখা গেল সকাল সকাল। অভিযোগ, নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করে বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ও তৃণমূলের পতাকা লাগানো হয়েছে। এই বিষয়ে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। পরে ছবি-পতাকা সরিয়ে দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে কোচবিহারের তুফানগঞ্জে তৃণমূলের অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয় পুড়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই ঘটনায় অভিযোগের তির আবার বিজেপির দিকে।