তাঁর হেলিকপ্টারেও আয়কর দফতর হানা দিয়েছিল। তন্নতন্ন করে খুঁজেও কিছুই পাননি আয়কর আধিকারিকরা। পয়লা বৈশাখের দিন নিজেই এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে নিজেই এ খবর জানিয়েছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন্দ্রকে এক হাত নিয়ে ওই ঘটনার কথা জানিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক লিখেছেন, 'এনআইএ-র ডিজি এবং এসপিকে সরানোর বদলে আজ নির্বাচন কমিশন এবং বিজেপি তাদের আজ্ঞাবাহক আয়কর দফতরের আধিকারিকদের পাঠিয়েছিল আমার হেলিকপ্টারে তল্লাশি চালাতে। যদিও তাতে কোনও লাভ হয়নি। কারণ কিছুই পাওয়া যায়নি।' তিনি আরও লিখেছেন,'(দিল্লির) জমিদাররা যতই বাংলায় বলপ্রয়োগ করুক না কেন বাংলার প্রতিরোধকে দুর্বল করা যাবে না।'
নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে বচসা
তৃণমূল সূত্রে খবর, সোমবার হলদিয়া যাওয়ার কথা অভিষেকের। রবিবার সকালে বেহালা ফ্লাইংক্লাবে এসে হাজির হন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। তাঁরা নিরাপত্তা রক্ষীদের কার্যত আটকে রেখে কপ্টার তন্নতন্ন করে খুঁজে দেখে। কিন্তু কিছুই পায়নি তারা।
সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কপ্টারের মধ্যে প্রতিটি ব্যাগ তাঁর খুঁজে দেখেন। কিন্তু সে পর্যন্ত কিছু না পেয়ে তাঁরা হেলকপ্টারটিকেই দীর্ঘক্ষণ আকটে রেখে দেন। চড়ার অনুমতি চাওয়া হলে নিরাপত্তাদের তা দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে নিরপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বচসাও হয় আয়কর আধিকারিকদের। অভিযোগ, কপ্টারটিকে আটকে রাখার হুমকিও দেন তাঁরা। এ নিয়ে আয়করের তরফে কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।
আরও পড়ুন। ৩টি নতুন বুলেট ট্রেন প্রকল্প, তিন ধরনের বন্দে ভারত, ইস্তেহারে মোদীর গ্যারান্টি!
তল্লাশি নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির প্রতিক্রিয়া
তল্লাশির পিছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাই দেখছে তৃণমূল। এ প্রসঙ্গ কুণাল ঘোষ বলেন, 'কেন তল্লাশি বলতে পারেনি। অভিষেকের নিরাপত্তারক্ষীরা যখন ছবি তুলতে যাচ্ছিল ঝগড়া করেছে। কিছু খুঁজে পায়নি। জিনিসপত্র খুলে দেখে তছনছ করেছে। বাধা দিতে গেলে বা প্রশ্ন করতে গেলে বলেছে আটকে রাখব। দেরি করাব। আমরা তীব্র নিন্দা করছি।'
আরও পড়ুন। লাঠি ছেড়ে নববর্ষে ত্রিশূল হাতে দিলীপ, কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূল
বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ এই তল্লাশি প্রসঙ্গে বলেন, 'চপারটি অভিষেক কিনেছেন? যে কোম্পানির চপার সেই কোম্পানি ট্যাক্স ভরেছে কি না, লাইসেন্স আছে কি না, সেই সব প্রশ্ন করতেই পারে। গতবারের ভোটে তো চপার নামতেই দিত না আমাদের। অনুমতি ছিল না।'
লোকসভা নির্বাচনের সব খবর পড়ুন এখানে