দরজায় কড়া নাড়ছে লোকসভা ভোট। তার আগে রবিবার বিজেপি লোকসভা নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রবিবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে তাঁর দল সরকার তৈরির পর তিনটি নতুন বুলেট ট্রেন প্রকল্প চালু করবে। তিনি বলেন, সরকার বন্দে ভারত ট্রেনগুলিকেও তিনটি বৃহত্তর বিভাগে বিভক্ত করবে।
দেশের প্রতিটি কোণে বন্দে ভারত ট্রেন সম্প্রসারণ করবে বিজেপি সরকার। বন্দে ভারতের তিনটি মডেল দেশে চলবে - বন্দে ভারত স্লিপার, বন্দে ভারত চেয়ার কার এবং বন্দে ভারত মেট্রো।
তিনি বলেন, শিগগিরই তিনটি বুলেট ট্রেন প্রকল্প চালু করা হবে।
আজ আমেদাবাদ-মুম্বই বুলেট ট্রেনের কাজ পুরোদমে চলছে এবং প্রায় শেষের পথে। একই ভাবে উত্তর ভারতে একটি বুলেট ট্রেন, দক্ষিণ ভারতে একটি বুলেট ট্রেন এবং পূর্ব ভারতে একটি বুলেট ট্রেন চলবে। এ জন্য জরিপের কাজও শিগগিরই শুরু করা হবে।
ভারতীয় রেলওয়ে ২০২৬ সালের জুন-জুলাইয়ের মধ্যে মুম্বই-আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়েছে। এটিই হবে ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেন।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ছিল ৪০ শতাংশ।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ৫০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ মুম্বই-আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেন করিডরে সীমিত সংখ্যক স্টপেজ থাকবে।
সব মিলিয়ে বুলেট ট্রেনকে ঘিরে স্বপ্ন বুনছে গোটা দেশ। তার মধ্য়েই বুলেট ট্রেন প্রকল্প রূপায়ণ নিয়ে বিরাট প্রতিশ্রুতি এবার বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারে।
নির্বাচনী ইশতেহারে দলটি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি এবং 'এক দেশ, এক নির্বাচন' বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল।
সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদে অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে রাষ্ট্রনীতির অন্যতম নির্দেশক নীতি হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। বিজেপি বিশ্বাস করে যে যতক্ষণ না ভারত একটি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি গ্রহণ করে, যা সমস্ত মহিলার অধিকার রক্ষা করে, ততক্ষণ পর্যন্ত লিঙ্গ সমতা থাকতে পারে না এবং বিজেপি একটি অভিন্ন দেওয়ানি কোড আঁকতে তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে, সেরা ঐতিহ্যকে টেনে এনে আধুনিক সময়ের সাথে সামঞ্জস্য করে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেছিলেন যে বিনামূল্যে রেশন প্রকল্পটি আগামী পাঁচ বছরের জন্য বাড়ানো হবে।
বিজেপি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে যোগ্য ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে।
২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সংসদে পাস হওয়া সিএএ দেশজুড়ে প্রতিবাদের মুখে পড়ে।
গত মাসে এর নিয়মাবলী অবহিত করা হয়েছিল।
সংবাদ সংস্থা এএনআই