দিলীপ ঘোষ। বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে যে কয়েকজন বিজেপি নেতা আজও লড়ে যান তাঁর মধ্য়ে অন্যতম নিঃসন্দেহে দিলীপ ঘোষ। অনেকের মতে, বর্তমানে দলের অন্দরে তিনি বিশেষ গুরুত্ব পান না। তবে দিলীপ ঘোষ অবশ্য় আজও স্বমহিমায়।
একেবারে কাঠফাটা গরম। তার মধ্য়েই দাপিয়ে প্রচার করছেন দিলীপ ঘোষ। এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্ত পর্যন্ত ছুটে বেড়াচ্ছেন। আর সেই দিলীপ ঘোষই এবার একেবারে ফুরফুরে মেজাজে গান ধরলেন পরদেশী, পরদেশী জানা নেহি।
তিনি বলেন, ১৩ তারিখের পরে ওই গানটা গাইতে হবে। পরদেশী, পরদেশী জানা নেহি। মাইক্রোফোন হাতে দিলীপ ঘোষের গান। এই গান শুনে তুমুল হাততালি পড়ে। ভারত মাতা কি জয় স্লোগানও ওঠে। তিনি বলেন, টিএমসি ১৩ তারিখের পরে এই গানটা গাইবে, পরদেশী পরদেশী জানা নেহি। মুঝে ছোড়কে …হাসির রোল ওঠে সভাস্থলে। তিনি বলেন, টিএমসির ভাইদের বলছি। এদের পাল্লায় পড়ে উলটো পালটা করো না। সুদ জমা হচ্ছে। আসল সুদ আমি উসুল করব। আমি দিলীপ ঘোষ …একেবারে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন দিলীপ ঘোষ।
কিন্তু কাকে নিশানা করে গান গাইলেন দিলীপ ঘোষ?
গানে গানে তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদকে জবাব দিলেন দিলীপ ঘোষ। পরদেশী, পরদেশী গান ধরলেন দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষের এই গান শুনে হাততালিও পড়ে তুমুল।
কড়া রোদ। সেই রোদ মাথায় নিয়ে প্রচার। তার মাঝেই দিলীপ ঘোষের এই গান যেন অন্য় মাত্রা দিল প্রচারে। হাততালিও পড়ল পুরোদমে। সেই সঙ্গেই এই ৪২-৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রাকে উপেক্ষা করে তিনি যেভাবে ছুটে বেড়াচ্ছেন তাতে বোঝাই যাচ্ছে আজও কতটা সক্রিয়া দিলীপ ঘোষ। সেই সঙ্গেই নরমে গরমে তৃণমূলকে চাপে রাখতে তিনি চেষ্টার কোনও কসুর করছেন না।
সেই সঙ্গেই নানা মন্তব্যের জেরে তিনি বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন। তারপরেও তিনি সেই রাস্তা এখনও ছাড়েননি। আসলে অনেকের মতে, এটাই দিলীপ ঘোষ। দাপটের সঙ্গে কীভাবে তৃণমূলকে বাগে আনতে হয় সেটা এই বাংলাকে শিখিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষই।
সম্প্রতি তিনি বলেন, ‘শাহজাহানের মতো নেতাদের উপর টিএমসি দাঁড়িয়ে আছে। আদালত, সিবিআই, ইডি এই সমস্ত পিলারদের ধরছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এরপর ভিখারির দশা হবে। শাহজাহানদের টাকা শুধু মন্ত্রী নয়, কালীঘাট পর্যন্ত গিয়েছে।’