'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনে হয় মৃত্যুঘণ্টা বেজে গিয়েছে', এবার এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠলেন প্রাক্তন বিচারপতি তথা তমলুক লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এককালে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য 'ভগবান' হয়ে ওঠা অভিজিৎ এর আগেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'তালপাতার সিপাহি' বলে কটাক্ষ করেছিলেন। তবে এবার সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিয়ে তাঁর 'মৃত্যু' নিয়ে মন্তব্য করলেন অভিজিৎ। আর এর জেরে এবার সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। (আরও পড়ুন: 'বিশ্বের বৃহত্তম দুর্নীতি', নির্বাচনী বন্ড নিয়ে এবার বিস্ফোরক নির্মলার স্বামী)
আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটে CAA-র অঙ্ক মেলাতে পারবে BJP? প্রকাশ্যে জনমত সমীক্ষার ফল
সম্প্রতি একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে প্রচারের মাঝে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সময়ই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'মৃত্যুঘণ্টা বাজা' নিয়ে মন্তব্য করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সাক্ষাৎকারের ৬ সেকেন্ডের অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনী কমিশন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ট্যাগ করে ঘাসফুল শিবির। (আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের আগে বড় ঘোষণা, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের মজুরি বাড়াল কেন্দ্রীয় সরকার)
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে তৃণমূলের তরফ থেকে লেখা হয়, 'কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপির লোকসভা প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ঘৃণ্য মন্তব্য করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু কামনা করে। এটা আমাদের গণতন্ত্রের উপর একটি দাগ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আবেদন, এক মুহুর্তের জন্য ভেবে দেখুন... এই অধঃপতনে যাওয়া ব্যক্তিদেরই আপনি আপনার 'পরিবার'-এ যোগ করছেন? জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। ভারতের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন এই ব্যক্তি!'
এদিকে সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কুকথা বলে দল এবং কমিশনের শোকজ নোটিশ হাতে পেয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। আবার সম্প্রতি বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকার বেলাগাম ভাষায় আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি 'অন্ধ গায়কের' সঙ্গে তুলনা করেন। বিজেপি প্রার্থী বলেন, 'মোদীজির উন্নয়ন এরা গ্রহণ করতে চায় না। যেগুলো নেয় সেগুলো নিজের নামে স্টিকার লাগিয়ে দেয়। নিজেদের নামে সেই সব প্রকল্প চালানো হয় এখানে। আমার একটা ছোট্ট গল্প মনে পড়ে গেল। পাগল বিজয় সরকারের একটা বিখ্যাত গান আছে - 'পোষা পাখি উড়ে যাবে সজনী এতদিন ভাবি নাই মনে'। শুনেছেন আপনারা গানটা। ওই গানটাই পাগল বিজয় সরকারের গ্রামের রতন কানা খুব ভালো গাইত। বিজয় সরকারের সেই গান থেকে তাঁর নাম তুলে দিয়ে রতন কানা নিজের নাম বসিয়ে দেয়। দিদির অবস্থাও তাই। আমাদের মোদীজি এত বড় মাপের তো। সারা বিশ্বের চোখে তিনি প্রিয়। উনি যত প্রকল্প পাঠান, সেখানে ওঁর নাম বলতে মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা করে। তাই নিজের নামটা ঢুকিয়ে দেন। এই জন্যই বলছি ওই রতন কানাও যা, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীও তাই।'
এর আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন দিলীপ। গত মঙ্গলবার সকালে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে 'চায় পে চর্চা'র সময় দিলীপ ঘোষ মমতাকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে বলেছিলেন, 'বাংলা নিজের ভাইপোকে চায়। বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে.....। দিদি গোয়ায় গিয়ে বলেন, আমি গোয়ার মেয়ে। ত্রিপুরায় গিয়ে বলেন আমি ত্রিপুরার মেয়ে। আমি বলি, বাপ তো ঠিক করুন। যার-তার মেয়ে হওয়া ঠিক নয়।'