রাজ্যের অন্যতম নজরকাড়া কেন্দ্র যাদবপুর। এই কেন্দ্রের মধ্যে যেমন পড়ে শহরাঞ্চল, তেমনি রয়েছে গ্রামও। এলাকায় যেমন বুদ্ধিজীবী মানুষের বাস তেমনি রয়েছে কৃষক-শ্রমজীবী মানুষও। সেই যাদবপুর কেন্দ্রে এবার ত্রিমুখী লড়াই। এই কেন্দ্রে এবার তৃণমূল প্রার্থী, সায়নী ঘোষ, সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য, অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। তিন প্রার্থীই প্রচার চালাচ্ছেন জোর কদমে। সেই প্রচারের ব্যস্ততার ফাঁকে হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে কথা বললেন বিজেপি প্রার্থী শিক্ষাবিদ অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রচারে বেরিয়ে বিজেপিকে নিয়ে কেমন উৎসাহ চোখে পড়ছে?
বিজেপিকে নিয়ে মানুষের প্রচুর উৎসাহ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি বিশ্বাস। তিনি গত ১০ বছর ধরে মানুষের জন্য, দেশের জন্য অনেক কিছু করেছেন, এটা সেই আস্থার বহিঃপ্রকাশ। মানুষ পরিষ্কার বুঝতে পারছে, মোদীজির কেউ নেই। যা করছেন, সবকিছুই তিনি ভারতবাসীর জন্য করছেন। সারা পৃথিবীর মধ্যে ভারতবর্ষ যাতে এক নম্বর দেশ হয়, সেই দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েই তিনি এগিয়ে চলেছেন। সাধারণ মানুষ এ সব বুঝতে পারছে।
নির্বাচিত হলে যাদবপুরের মানুষের কোন দাবিকে দিল্লিতে নিয়ে যাবেন?
মানুষের অনেক দাবিদাওয়া রয়েছে। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলো যাতে আরও ভালো করে এখানে বাস্তবায়িত হয়, সেগুলোর সুবিধা আরও সহজে পাওয়া যায়। এখানকার পরিকাঠামো, যোগাযোগের মতো বিষয়গুলো রয়েছে। বহু বছর ধরে বেশ কিছু কাজ আটকে রেখেছে, করতে দেওয়া হয়নি।
এখানকার মানুষ কেন বিজেপিকে চাইবে?
যাদবপুরের মানুষ যেটা চাইছে, সেটা বুঝতে পারছি। তারা অনেককে সুযোগ দিয়েছে। কিছুই পায়নি। এ বার তাই তারা বিজেপিকে সুযোগ দিতে চায়। গত কয়েক বছর ধরে তারা এখানে অনেক গায়ক-গায়িকা, নায়ক-নায়িকা, সেলিব্রিটিদের দেখেছে। তারা কোনো দিন মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। মানুষের ভোট চেয়েছে, পেয়েছে এবং জিতে চলে গেছে। তার পরে আর ফিরেও তাকায়নি। আমরা বলছি যে, আমাদের এক বার দেখুন। দেখুন আমরা কী করতে পারি।
২০২১-এ বিধানসভায় প্রার্থী হয়েছিলেন বোলপুরে এবার যাদবপুর, দুটি জায়গার মধ্যে তফাৎ কতটা?
বোলপুর যেমন রাজনৈতিক ভাবে বহুচর্চিত, তেমনই যাদবপুরও বহুচর্চিত। এখানেও রাজনৈতিক দিক থেকে জটিলতা রয়েছে। বোলপুরের মতোই যাদবপুরেও একটি ঐতিহ্যের ইতিহাস রয়েছে। বাংলার ইতিহাসে এই দুই কেন্দ্রেরই একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। সেই জন্য যাদবপুরও সবসময় যথেষ্ট প্রেস্টিজিয়াস, বোলপুরও ছিল।
বামের ভোট এবারও কি রামে যাবে?
যারা দেশের ভাল চায়, যারা চায় ভারতবর্ষকে এগিয়ে নিয়ে যেতে, তারা বিজেপি-কেই ভোট দেবেন। যারা চায় খেটে খাওয়া মানুষের ভাল হোক, সাধারণ মানুষের ভাল হোক, একটু স্বাচ্ছন্দ্য আসুক জীবনে, তার বাড়িতে শৌচালয়, তার বাড়িতে পানীয় জলের লাইনটা পৌঁছোক, তার মাথার উপর একটা ছাদ হোক, যারা চায় যে একটু সুলভ দামে ওষুধগুলো পাওয়া যাক, স্বাস্থ্যের জন্য একটা বিমা থাকুক,যারা দেখে এগুলো হচ্ছে, তারা যে দলেই থাকুক না কেন বুঝতে পারছেন, নরেন্দ্র মোদী কাজ করছেন।
নিজেকে কতটা এগিয়ে রাখছেন?
আত্মবিশ্বাস আমার রয়েছে। তবে ওভার-কনফিডেন্স নয়। আমরা মানুষের কাছে যাতে আমাদের কর্মসূচি, নিজেদের উপলব্ধি সঠিক ভাবে পৌঁছে দিতে পারি, মানুষের মনে সেই বিশ্বাস জাগাতে পারি যে,আমরা তাদের সঙ্গে রয়েছি, তা হলে জয় সুনিশ্চিত।