বাংলা থেকে কতগুলি আসন আশা করছে বিজেপি? এই প্রশ্নটা অনেকের মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে। আসলে এবারও গেরুয়া শিবিরের কাছে নিঃসন্দেহে পাখির চোখ হল বাংলা। এবার আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শিলিগুড়িতে তিনি জানিয়েছেন, এই রাজ্য থেকে ৩০-৩২টি আসন পাবেন বলেই আশা করছেন তিনি। এদিকে বিজেপির একাধিক নেতৃত্ব তো ইতিমধ্য়েই দাবি করতে শুরু করেছেন যে এই রাজ্য থেকে বিজেপি যদি ৩০ বা তার থেকে বেশি আসন পেয়ে যায় তবে সরকার পড়ে যেতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে শাহ স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছেন যে তৃণমূল যদি ভেঙে যায় তবে তা আলাদা কথা। তবে সরকার ফেলার ব্যাপারে বিজেপি যে বিশ্বাসী নয় এটাও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
সব মিলিয়ে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এবারের লড়াইটা বিজেপির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এবার আসন সংখ্য়া কমে গেলে মূলত বিজেপির নীচুতলার কর্মীদের মনোবলে চিড় ধরবে। এর জেরে গোটা দল কার্যত সমস্যায় পড়ে যাবে।
তবে এসবের মধ্য়েও দুই দলের নীচু তলার কর্মীরা, পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্য়ে একটা কথা প্রায়ই ঘুরে ফিরে আসছে যে হয়তো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে বিজেপির কোথাও একটা বোঝাপড়া রয়েছে। যার জেরে বার বার দুর্নীতির মাথাদের কথা উল্লেখ করা হলেও বাস্তবে কাজের কাজ কিছু হয় না। তবে আনন্দবাজারের কাছে এনিয়েও মুখ খুলেছেন অমিত শাহ। তিনি জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে ডিল-এর কোনও প্রশ্নই নেই। এই সরকারকে শিকড়সুদ্ধ উপড়ে ফেলাই বিজেপির একমাত্র লক্ষ্য। সেই পরিপ্রেক্ষিতের সন্দেশখালির প্রসঙ্গ আনেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, যে সরকার ভোট রাজনীতির জন্য সন্দেশখালির মতো ঘটনা চলতে দেয়, তাদের সঙ্গে ডিল-এর কোনও প্রশ্নই নেই।
কার্যত বামেরাও বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্য়ে এই তলায় তলায় সেটিংয়ের তত্ত্ব বার বার সামনে আনেন। অন্য়দিকে পাড়ার চায়ের দোকান থেকে বাড়ির অন্দরমহল সর্বত্র এই সেটিং নিয়ে আলোচনা চলে। তবে ভোটপর্বে এসে এই সেটিংয়ের বিষয়টি একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে বর্তমানে বাংলায় যার নেতৃত্বে বিজেপি লড়ছে তিনি অবশ্য়ই শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্ব সেই শুভেন্দুর কথা বলতে গিয়ে মাঝেমধ্য়েই বলেন, এফআইআর নাম থাকা সত্ত্বেও শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তবে সেই প্রসঙ্গে অমিত শাহ ওই সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, কোনও তদন্ত বন্ধ হয়নি। সব মামলা আদালতে চলছে।