ঝাড়খণ্ডে লোকসভা নির্বাচনে একা লড়ার কথা আগেই জানিয়েছিল বামেরা। সেইমতোই ইন্ডিয়া জোট থেকে বেরিয়ে গিয়ে ১৪টি আসনের মধ্যে ৮টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল বামফ্রন্ট। আসন ভাগাভাগি নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা বাস্তবায়িত না হওয়ার পরে বামেরা প্রার্থী ঘোষণা করে। আসন ভাগাভাগি না হওয়ার জন্য তারা কংগ্রেসকেই দায়ী করেছে।
আরও পড়ুন: কোনও জোট বা তৃতীয় ফ্রন্টে নয়, একাই লড়ব BSP, ‘গুজব’ উড়িয়ে জানালেন মায়াবতী
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক প্রকাশ বিপ্লব এবং সিপিআইয়ের অজয় সিং আসন ভাগাভাগি নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা না করার জন্য কংগ্রেসকে দায়ী করেছেন। অন্যদিকে, ইন্ডিয়া জোটের শরিক আরজেডি পালামু এবং চাতরা এই দুটি আসন দাবি করে। তাদের বক্তব্য, এই দুটি কেন্দ্রে তাদের প্রচুর সমর্থক রয়েছে। তবে সেই দুটি আসনেই বামেরা প্রার্থী দিয়েছে। ঝাড়খণ্ডের পালামু, লোহারদাগা, চাতরা এবং দুমকা এই ৪টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে সিপিআই। অন্যদিকে, রাজমহল ও চাতরায় সিপিএম প্রার্থী ঘোষণা করেছে। ধানবাদ থেকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে এমসিসি। অন্যদিকে, সিপিআই (এমএল) কোডারমা পার্টি দিয়েছে। এরফলে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে ইন্ডিয়া জোট।
সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মহেন্দ্র পাঠক আগেই জানিয়েছিলেন, তারা লোকসভা নির্বাচনে একাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ঝাড়খণ্ডে সিপিআই-এর কোনও লোকসভা সাংসদ নেই। এ বিষয়ে কংগ্রেসকে দোষারোপ করে সিপিআই জানিয়েছে, বিরোধী জোট আসন ভাগাভাগি নিয়ে তাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেনি। সেই কারণে তারা একা লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের বক্তব্য, বিজেপি অনেক আগে প্রার্থী ঘোষণার পরেও কংগ্রেস তাদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে সেরকম গুরুত্ব দেয়নি। তাই একা প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত। এর আগে রাঁচিতে সিপিআইয়ের রাজ্য কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক হয়। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের ১৪টি লোকসভা আসনের মধ্যে বিজেপির ১১জন, এজেএসইউ দলের ১ জন, জেএমএম ১ জন এবং কংগ্রেসের ১ জন সাংসদ রয়েছে। যদিও কংগ্রেসের একমাত্র সাংসদ গীতা কোরা সম্প্রতি বিজেপিতে যোগদান করেছেন। প্রসঙ্গত, রাজ্যে ১৪টি লোকসভা আসন রয়েছে। যার মধ্যে ৫টি তপসিলি উপজাতি (এসটি) এবং ১ টি তপসিলি জাতির (এসসি) জন্য সংরক্ষিত রয়েছে।