বাংলার নজরকাড়া কেন্দ্রগুলির একটি হল হুগলি লোকসভা কেন্দ্র। এখানে একদিকে, তৃণমূলের তারকা প্রার্থী হলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী হলেন বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। দুজনেই পুরোদমে প্রচার চালাচ্ছেন। রামনবমীতেও তার অন্যথা হল না। দুজনেই বিভিন্ন মন্দিরে পুজো দিয়ে জনসংযোগ সারলেন। রামনবমীর অনুষ্ঠান থেকেই একদিকে রচনা যেমন বললেন রাম সকলের, অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই লকেট বললেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার।
আরও পড়ুন: কখনও মা-মেয়ে আবার কখনও দুই জা! কোন কোন সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেছেন লকেট-রচনা
এদিন রামনবমী উপলক্ষে দুই প্রার্থী আলাদা আলাদা মন্দিরে পুজো দেন। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন চন্দননগরের সাহেববাগান এলাকার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের থেকে খ্যাপা কালী মন্দির, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের হনুমান মন্দিরে পুজো দেন। সেখানে পুজো দিয়ে জনসংযোগ সারেন তৃণমূল প্রার্থী। সেখান থেকেই তিনি রামনবমী নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেন। তৃণমূল প্রার্থীর মতে, রাম সকলের ভগবান। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘রাম কবে বিজেপির হল?’ রচনার কথায়, লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিদিন রাম, সীতা, লক্ষ্মণ, হনুমানজির পুজো করেন। ভগবান সকলের। তিনি আরও জানান, এদিন যে মন্দিরে রামের পুজো হয়েছে সেখানে গিয়ে তিনি প্রণাম করেছেন। এছাড়াও সাধারণ মানুষদের আশীর্বাদ পেয়ে তাদের ধন্যবাদ জানান রচনা।
অন্যদিকে, এদিন চুঁচুড়া কাপাসডাঙায় হিন্দু জাগরণ মঞ্চ রাম নবমী উপলক্ষে শ্রী রামের পুজো করে। সেখানে যোগ দেব লকেট। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতার সুরে তিনি বলেন, ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার।’ তবে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি বিজেপি প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘বাংলায় সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে থাকে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বার বার এই দিনকে টার্গেট করছেন। দাঙ্গার কথা বলে বিভেদ সৃষ্টি করে ভোটের ফায়দা তুলতে চাইছেন। এতে কোনও লাভ হবে না। মানুষ ওঁকে প্রত্যাখ্যান করবে।’
রামনবমী উৎসব প্রসঙ্গে লকেট বলেন, ‘রামনবমীর উৎসবে এবার আবেগ অনেক বেশি। কারণ ৫০০ বছর পর অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছে।’ রিষড়া সহ যে সব জায়গায় রামনবমী পালিত হয় সেখানে উৎসাহের সঙ্গে পালন করার কথাও বলেন তিনি। পুলিশ প্রশাসন তাদের কাজ করবে। তবে শর্ত দিয়ে মানুষকে আটকানো যায় না বলে জানান লকেট।