লোকসভা ভোট ঘিরে গোটা দেশের রাজনৈতিক আঙিনায় সাজো সাদো রব। চলছে নেতা মন্ত্রীদের জনসভা থেকে রোড শো। তারই মাঝে এবার বিতর্কের কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এক জনসভা। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর রোড শোতে স্কুল পড়ুয়াদের দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ। সদ্য সোমবারই তামিলনাড়ুতে সভা ছিল মোদীর। সেখানেই তাঁর রোড শোতে স্কুল পড়ুয়াদের দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ নিয়ে এবার কমিশনের দ্বারস্থ তামিলনাড়ুতে বিজেপির বিপক্ষ শিবির ডিএমকে।
প্রধানমন্ত্রীর রোডশোতে স্কুল পড়ুয়াদের উপস্থিতির অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ুতে ডিএমকের স্ট্যালিন সরকারের প্রশাসন তদন্তে নেমেছে। তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুর প্রশাসনের তরফে ঘটনার অভিযোগ ঘিরে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, সরকারি অনুদান প্রাপ্ত স্কুল শ্রীসাইবাবা বিদ্যালয়ামের পড়ুয়াদের মোদীর রোডশোতে দেখা গিয়েছে। স্কুলকে ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসন একটি নোটিস পাঠিয়েছে। গোটা বিষয়টি ব্যাখ্যা করার জন্য স্কুলের তরফে নোটিস পাঠানো হয়। নোটিসে বলা হয়েছে, ‘ এমনকি সাধারণ পরিস্থিতিতেও স্কুল শিক্ষা দফতর রাজনৈতিক প্রচার, সমাবেশ ইত্যাদিতে স্কুলের শিশুদের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে।’ নোটিসে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কোনও রাজনৈতিক মিছিলে যেখানে নির্বাচন কমিশনের ‘জিরো টলারেন্স রয়েছে’ কোনও স্কুল পড়ুয়াকে ভোট সম্পর্কিত কোনও ক্ষেত্রে ব্যবহার করা নিয়ে, সেখানে এই ঘটনা কীভাবে হতে পারে? উল্লেখ্য, ঘটনা নিয়ে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। স্ট্যালিন প্রশাসন ওই নোটিসে বলছে, ‘তথাকথিতভাবে শিশুদের এভাবে ব্যবহার ভারতের নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত শিশু অধিকার এবং আদর্শ আচরণবিধির চরম লঙ্ঘন হিসাবে বিবেচিত হয়।’ উল্লেখ্য, মোদীর ওই সভায় এই স্কুলের ৫০ জন পড়ুয়ার সঙ্গে বেশ কিছু স্টাফকেও দেখা গিয়েছে। ঘটনা ঘিরে স্কুল ম্যানেজমেন্টকে স্কুলের প্রধানশিক্ষক ও বাকি স্টাফদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।
এদিকে, মোদীর সভা ঘিরে এই বড়সড় অভিযোগের পর ডিএমকের তরফে সাংগঠনিক সম্পাদক আরএস ভারতী মঙ্গলবারই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন। মোদীর সভায় স্কুল পড়ুয়াদের উপস্থিতি ঘিরে তামিলনাড়ুর মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের কাছে বিজেপির বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ দায়ের করেছে ডিএমকে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ১২ থেকে ১৫ বছরেরও নিচের স্কুল পড়ুয়াদের রাজনৈতিক প্রচারে কাজে লাগানো হয়েছে। ডিএমকে তার অভিযোগে বলেছে, ‘বাচ্চাদের ভারতীয় জনতা পার্টির চিহ্ন সহ পোশাক পরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’ এছাড়াও বলা হয়েছে, বিজেপির আয়োজিত রাজনৈতিক সভায় স্কুল পড়ুয়াদের দিয়ে গান গাওয়ানো, আবৃত্তি করানো হয়। তদন্তের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে পদক্ষেপের কথা বলেছেন জেলা নির্বাচনী অফিসার ক্রান্তিকুমার পতি, উল্লেখ্য তিনি জেলা কালেক্টর পদেও রয়েছেন সেখানে।