আবার বেলাগাম মন্তব্য করে বসলেন বর্ধমান–দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। আগেও তিনি নানা বেলাগাম মন্তব্য করেছিলেন। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও বেলাগাম মন্তব্য করেছিলেন। নির্বাচন কমিশনের কোপে পড়েছিলেন। সেন্সর হয়েছিলেন। তবে তিনি নির্বাচন কমিশনকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। এবার সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদদের কটাক্ষ করতে গিয়ে বেলাগাম মন্তব্য করে বসলেন। যা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
একদিন আগেই দিলীপ ঘোষের মুখ থেকে শোনা গিয়েছিল, ঘাড়ে ধরে নিয়ে এসে সাজা দেওয়া উচিত। এমন মন্তব্য করে দিলীপ ঘোষ বিতর্ক তৈরি করেছিলেন। এবার ঠিক কী বললেন? আজ, বুধবার দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘যারা কাকার বাড়ি, মেসোর বাড়ি যাচ্ছে তাদের জন্য বলছি। আমরা তো সকাল থেকে পাবলিকের সঙ্গে আছি। যাদের পাবলিকের সামনে যাওয়ার মতো মুখ নেই। মানুষের প্রশ্নের কাছে উত্তর নেই। তারা এখন নির্বাচন কমিশনে প্যারেড করছে।’ চায়ে পে চর্চায় এসে বর্ধমানের নতুন পল্লী এলাকায় আজ বর্ধমান–দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ এমন কথাই বলেছেন।
আরও পড়ুন: ‘পাঁচ হাজার টাকা করে সংগ্রামী ভাতা দেওয়া হবে’, শুভেন্দুর প্রতিশ্রুতিতে তুমুল বিতর্ক
নির্বাচন কমিশনের কাছে যাওয়া সব রাজনৈতিক দলের কাছেই গণতান্ত্রিক অধিকার। তা নিয়ে বেলাগাম মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ বলে অভিযোগ। দু’দিন আগে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ১০ জনের প্রতিনিধিদল নয়াদিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে যান। সেখানে জলপাইগুড়িতে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি তৈরি করার অনুমতি চাইতে গিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা। সেখানে এই অনুমতি চাওয়ার পাশাপাশি এনআইএ, সিবিআই, ইডি এবং ইনকাম ট্যাক্সের ডিরেক্টর অর্থাৎ কর্তাদের পরিবর্তন করার দাবি তুলেছিলেন। সেটা না মানায় বাইরে বেরিয়ে এসে ধরনায় বসেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা। তখন তাঁদের সেখান থেকে টেনে হিঁচড়ে তুলে নিয়ে যায় দিল্লি পুলিশ।
এই বিষয়টিকেই কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। আজ, বুধবার সকালে বর্ধমান পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জামতলা এলাকার ফুটবল মাঠে প্রাতঃভ্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে মাঠে হাঁটার পাশাপাশি ফুটবল খেলেন ও গোল করেন। তারপর তিনি নতুনপল্লী এলাকায় চা চক্রের আসরে সামিল হন। আর সেখানে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন এসেছে পাবলিকের কাছে যান। যারা জিতিয়েছে তাদের কাছে যান। ভোট চান। তাদের কাছে যাওয়ার মুখ নেই। তা না করে নির্বাচন কমিশনের কাছে ধরনা লাগাচ্ছে।’ আগে দিলীপ ঘোষ ভূপতিনগরের ঘটনা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘পুলওয়ামা, বালাকোট হতে পারলে আরও বড় সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হবে। কেউ বাঁচবে না।’