দীর্ঘ অপেক্ষার পরও অসম্পূর্ণ রইল বিজেপির প্রার্থী তালিকা। কারণ বাংলার দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা বিজেপি ঘোষণা করলেও চারটি আসনে এখনও প্রার্থী দিতে পারেনি তারা। তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আসন হল ডায়মন্ডহারবার। অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও প্রতিদ্বন্দ্বী পেলেন না। রবিবার রাতে নয়াদিল্লিতে বিজেপির সদর দফতর থেকেই ঘোষণা করা হল বাংলার ১৯টি আসনের প্রার্থীদের নাম। আগে ১৯ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। সুতরাং সর্বমোট ৩৮টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি থাকল চারটি। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস জনতার দরবারে দাঁড়িয়ে একসঙ্গে ৪২টি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেয়।
এদিকে সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত টানা তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির ম্যারাথন বৈঠক হয়। তার আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার নেতৃত্বে পৃথক কোর কমিটির বৈঠক হয়। এত কিছুর পরও ডায়মন্ডহারবারে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী খুঁজে পেল না বিজেপি। আর তা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে হাসাহাসি চলছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো মুখ ডায়মন্ডহারবার–সহ আরও তিন কেন্দ্রে প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি। সেগুলি হল—বীরভূম, আসানসোল এবং ঝাড়গ্রাম। শনিবার বাংলার জন্য দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকায় এই কেন্দ্রগুলিতে প্রার্থীর নাম নেই। পরে অবশ্য দেওয়া হবে বলেই সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: ‘বড় ওয়াশিং মেশিন প্রয়োজন হলে এটা ঘটবেই’, নবীন জিন্দালকে তুলোধনা করলেন জয়রাম
অন্যদিকে প্রথম দফার প্রার্থী তালিকায় বিজেপি বাংলার ২০টি আসনে নাম ঘোষণা করেছিল। তখন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ভোজপুরী গায়ক পবন সিং সরে দাঁড়ান। তখন থেকেই খালি এই আসনে বিজেপি প্রার্থী। যেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী দ্বিতীয়বার হয়েছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। এখান থেকে তিনি জয়ী সাংসদ। এবার আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে এখনও পাননি প্রতিদ্বন্দ্বী। দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকাতেও ১৯টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এখনও বাংলার ডায়মন্ডহারবার, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম এবং আসানসোলের প্রার্থী নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে পারেনি বিজেপি শীর্ষ নেতারা।
এছাড়া অর্জুন সিং, তাপস রায় দলবদল করে টিকিট পেয়েছেন। দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মেদিনীপুর থেকে। বর্ধমান–দুর্গাপুর আসন থেকে প্রার্থী করা হয়েছে দিলীপকে। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কীর্তি আজাদ। আর মেদিনীপুরে পাঠানো হয় অগ্নিমিত্রা পালকে। এসএস আলুওয়ালিয়া আর টিকিট পেলেন না। সন্দেশখালি কাণ্ডের প্রথম অভিযোগকারিণী রেখা পাত্রকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তবে তা নিয়ে বিতর্ক আছে। কারণ সেই মামলা এখনও বিচারাধীন। তমলুকে প্রার্থী করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকারকে প্রার্থী করা হয়েছে বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রে। বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন মজুমদার প্রার্থী হয়েছেন বারাসতে। কৃষ্ণনগর আসনে প্রার্থী করে দেওয়া হয়েছে রাজবধূ অমৃতা রায়কে।