প্রতিদ্বন্দ্বী না পেয়েও প্রচারে নামছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ডায়মন্ডহারবারে বুধে পা

ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হবে সপ্তম দফায়। ১ জুন ভোট অভিষেকের লোকসভা কেন্দ্রে। সেক্ষেত্রে হাতে যথেষ্ট সময় আছে। কিন্তু কোন ঢিলেমি পছন্দ করেন না এই কেন্দ্রের প্রার্থী। তাই এখন থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছেন তিনি। প্রচার কর্মসূচি সাজানো হচ্ছে। ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্র চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে।

‘‌কেউ অধম হইলে আমি উত্তম হইব না কেন?‌’‌ এই আপ্তবাক্যকে পাথেয় করে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবার প্রচারে নামতে চলেছেন। তবে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কে?‌ এখনও পর্যন্ত এই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী এখনও কোনও দল দেয়নি। সুতরাং অভিষেককে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতেই মাঠে নামতে হচ্ছে। নিজের লোকসভা কেন্দ্রে প্রচার থেকে শুরু করে নির্বাচনী স্ট্র‌্যাটেজি ঠিক করবেন তিনি। আর তা নিয়েই বৈঠক করতে ডায়মন্ডহারবারে আসছেন অভিষেক।

আগামীকাল বুধবার থেকে নিজের লোকসভা কেন্দ্রের কাজে নামবেন অভিষেক বলে সূত্রের খবর। আরও খবর, বহু নেতাই অভিষেকের বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে চাইছেন না। কারণ এখানে অভিষেক যে পরিমাণ কাজ করেছেন তাতে খড়কুঠোর মতো উড়ে যাবেন যে কেউ। সুতরাং তৃণমূল কংগ্রেস এখন ফাঁকা ময়দানে প্রচার করছে। দোলের পরই বুধবার থেকে ডায়মন্ডহারবারে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, প্রচার শুরু করার আগে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের নেতৃত্বের সঙ্গে ভোট প্রস্তুতি বৈঠকও করবেন তিনি।

এদিকে আগামী ২৭, ২৮ এবং ২৯ মার্চ আমতলার সাত বিধানসভার নেতৃত্বের সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে বৈঠক করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের স্ট্র‌্যাটেজি ওই বৈঠকে তৈরি হবে। এরপর ২ এপ্রিল কোচবিহার যাবেন অভিষেক। তারপর সেখান থেকে ৩ এপ্রিল যাওয়ার কথা বীরভূমে। সুতরাং ঠাসা কর্মসূচি নিয়েই গোটা এপ্রিল মাস বাংলার নানা প্রান্তে চষে বেড়াবেন অভিষেক। ইতিমধ্যেই খবর পাওয়া গিয়েছে আগামী ৩১ মার্চ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারে নামবেন। চোট সারিয়ে এবার পুনরায় রাজনীতির মঞ্চে ফিরছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাই গোটা বাংলা অপেক্ষা করছেন তাঁর বক্তব্য শোনার জন্য।

অন্যদিকে ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হবে সপ্তম দফায়। ১ জুন ভোট অভিষেকের লোকসভা কেন্দ্রে। সেক্ষেত্রে হাতে যথেষ্ট সময় আছে। কিন্তু কোনও ঢিলেমি পছন্দ করেন না এই কেন্দ্রের প্রার্থী। তাই এখন থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছেন তিনি। তাই প্রচার কর্মসূচি সাজানো হচ্ছে। ভোট ঘোষণার আগে থেকেই ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। বিজেপি এখনও এই কেন্দ্রে প্রার্থীই ঘোষণা করেনি। আর কংগ্রেস–সিপিএম–আইএসএফ হুঙ্কার ছাড়লেও সাহস দেখায়নি। নওসাদ সিদ্দিকী এখান থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলেছিলেন। কিন্তু এখন আর কিছু বলছেন না। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, নির্বাচনের প্রাক্কালে এই বৈঠক হতে পারে চমকপ্রদ। এই বৈঠকে বেশ কিছু যোগদানও হতে পারে।