লোকসভা নির্বাচনের আজ প্রথম দফার ভোটগ্রহণ পর্ব চলছে। এই তিন কেন্দ্র হচ্ছে— কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার। সকাল থেকেই জোরকদমে পড়ছে ভোট। এই প্রথম দফার নির্বাচনের ঠিক আগের সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, মিঠুন চক্রবর্তী ‘বাংলার গদ্দার’। তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমোই। কিন্তু নিজের ছেলের কুকীর্তি ঢাকতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আর এই সরকারের সমালোচনা করে যাচ্ছেন। এবার মিঠুন চক্রবর্তী লোকসভা নির্বাচনে বিশেষ দায়িত্ব পেয়েছেন বিজেপি থেকে। তার পর থেকেই জোরদার প্রচারে নেমে রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন। এবার এই মিঠুন চক্রবর্তীর কড়া সমালোচনা করলেন কুণাল ঘোষ।
আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটগ্রহণ পর্ব চলার সময়ই এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিস্তর তথ্য তুলে ধরে তোপ দেগেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুণাল ঘোষ। আর তা নিয়ে এখন জোর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এই মিঠুন চক্রবর্তী একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেও বাংলা জুড়ে প্রচার করেছিলেন। কিন্তু বিজেপি পরাজিত হওয়ার পর দু’বছর দেখা যায়নি তাঁকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় আবার দেখা গেলেও তা ছিল ক্ষণস্থায়ী। এবার ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে আবার স্বমহিমায় দেখা দিলেন এমএলএ ফাটাকেষ্ট। আর তাঁকেই আজ ধুয়ে দিলেন কুণাল ঘোষ।
এদিকে মিঠুন সম্পর্কে পাঁচটি পয়েন্ট তুলে ধরেছেন কুণাল ঘোষ। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তা তুলে ধরে মিঠুন চক্রবর্তীকে সরাসরি কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। যাতে তাঁর প্রচারে কোনও কাজ না হয়। বাংলার মানুষ অভিনেতা হিসাবে তাঁকে মেনে নিলেও রাজনৈতিক নেতা হিসাবে মেনে নেবে না। এটাই মনে করেন কুণাল ঘোষ। তাই মিঠুনের বিরুদ্ধে থাকা একাধিক মামলা মোকদ্দমা সামনে নিয়ে এসেছেন কুণাল। তার সঙ্গে সারদা কেলেঙ্কারিও তুলে ধরা হয়েছে এক্স হ্যান্ডেলে। একের পর এক খারাপ কাজ করে বিজেপিতে চলে গিয়েছে। সেখানে গিয়ে নিজেকে এবং পরিবারকে বাঁচিয়েছেন মিঠুন বলে অভিযোগ কুণালের। আর তাই সে বড় বড় অপরাধ করা সত্ত্বেও এখনও গ্রেফতার হননি বলে দাবি কুণালের।
আরও পড়ুন; ‘আমরা দশম তফসিল সংশোধন করব’, দলবদল ঠেকাতে তৃণমূলের প্রতিশ্রুতি, খোঁচা বিরোধীদের
ঠিক কী লিখেছেন কুণাল? অন্যদিকে এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল ঘোষ সরাসরি মিঠুন চক্রবর্তীকে সুবিধাবাদী, পাল্টিবাজ এবং দলবদলু বলে তোপ দেগেছেন। কুণাল লিখেছেন, ‘মিঠুন প্রসঙ্গে: ১) অ্যালকেমিস্ট চিটফান্ডের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। বিপুল টাকা নিয়েছেন। ফেরতের খবর নেই। গ্রেফতার হননি। ২) সারদার টাকা নিয়েছেন। গ্রেফতার হননি। প্রথমে টাকা ফেরত দেননি। সিবিআই, ইডি হওয়ার পর টাকা ফেরত দিয়েছেন ভয়ে। ৩) দক্ষিণ ভারতে পরিবেশ নষ্ট করে বড় নির্মাণের অভিযোগ। ৪) বিনা অনুমোদনে স্কুল খুলে ছাত্রদের অথৈ জলে ফেলার অভিযোগ। ৫) স্ত্রী, পুত্রের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত ও গ্রেফতার এড়াতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া রাজ্যসভা সাংসদ হঠাৎ ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে কুৎসায় নেমেছেন। সুবিধাবাদী, পাল্টিবাজ, দলবদলু।’