লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফাতেই হিংসা চরমে উঠল। সেটাও আবার কোচবিহারে। যেখানে নির্বাচন কমিশন বাড়তি নজর দিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে দু’জন বিশেষ পর্যবেক্ষক থাকার পরও হিংসা থামানো গেল না। আক্রান্ত তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপি দুই দলই। বাধ্য হয়ে দলীয় কর্মীকে দেখতে সকালেই হাসপাতালে ছুটে এলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। আর আজ, শুক্রবার যে ঘটনা ঘটেছে কোচবিহারে তার জন্য সরাসরি নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করলেন মন্ত্রী।
এদিকে যত কাণ্ড ঘটল নিশীথ–উদয়নের কোচবিহারে। তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন। আবার মাথা ফাটল বিজেপির বুথ সভাপতির বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধেও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। আর তার জেরে আজ সকাল ৯টার মধ্যে নির্বাচন কমিশনে বহু অভিযোগ দায়ের করল তৃণমূল কংগ্রেস। যার মধ্যে অধিকাংশই কোচবিহারের ঘটনা নিয়ে। আজ ভোটের দিন আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল দিনহাটার ভেটাগুড়ি। দিনহাটা–১ বি ব্লক সভাপতিকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত ব্লক সভাপতিকে দেখতে হাসপাতালে এলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। হাসপাতাল থেকেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মন্ত্রী। আর অভিযোগ তোলেন বিস্তর।
আরও পড়ুন: তীব্র গরম–বৃষ্টি উপেক্ষা করেই লম্বা লাইন, উত্তরবঙ্গের তিন কেন্দ্রে গড় রক্ষা করাই চ্যালেঞ্জ বিজেপির
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার রাতেই দিনহাটায় হাঁসুয়ার কোপে জখম হন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। সেই ট্রেন্ড চলেছে আজ ভোটের সকালেও। তুফানগঞ্জে আবার বিজেপি কর্মী আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর। তুফানগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের বরকোদালি গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর–অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে, এই কাজ করেছে বিজেপি। চান্দামারিতে আজ সংঘর্ষে জড়ায় তৃণমূল–বিজেপি। তার জেরে জখম হয়েছেন একাধিক। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বেরিয়ে পড়েন উদয়ন গুহ।
এছাড়া উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী হাসপাতালে চলে আসেন। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা কেমন আছেন তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন তিনি। ভেটাগুড়িতে বাড়ির কাছেই আক্রান্ত হন তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি অনন্ত বর্মণ। তিনি দিনহাটার ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের ১–এ ব্লক সভাপতি। তাঁকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে দেখতে আসেন উদয়ন গুহ। আর উদয়ন গুহ বলেন, ‘সন্ত্রাস করে আসন দখল করতেই আমাকে এলাকা–বন্দি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে রেখে হামলা চালানোর সুযোগ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নিরপেক্ষ কাজ করছে না নির্বাচন কমিশন। তাই বাধ্য হয়েই বেরতে হল।’