মালদা জেলার দুটি (উত্তর ও দক্ষিণ) আসন ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পায়নি তৃণমূল কংগ্রেস। একটি পায় বিজেপি এবং আর একটি পায় কংগ্রেস। এবার প্রচারে গিয়ে দুটি আসনেই তৃণমূল কংগ্রেসকে দেওয়ার আর্জি জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি–সিপিএমকে আক্রমণ করলেন তিনি। আর মালদা দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসকে বিশেষ বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আজ, শনিবার মঞ্চ থেকে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সুতরাং আজকের এই সভা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল।
এদিকে বিজেপি যে এবার ২০০ আসন পার করতে পারবে না সেটা অঙ্ক করে বুঝিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘বিজেপি বলছে ৪০০ পার করবে। কেরল, তামিলনাড়ুতে বিজেপি কোনও ভোটই পাবে না। গতবার সব জায়গায় ভোট পেয়ে ৩০৩ হয়েছিল। ২০২১ সালে বলেছিল বাংলায় ২০০ পার করবে। ১০০ পার করতে পারেনি। এবারও পারবে না। তার মধ্যে ১০ জন আমাদের সঙ্গে চলে এসেছিল। এবার বিজেপি ৪০০ পার নয়, পগার পার হবে। বিজেপিকে জুমলাবাজ, কুৎসিত ভান্ডার। বিজেপির মুখের ভাষা জঘন্য। সিপিএম তো নগণ্য। বাম–কংগ্রেস নিজেদের কাছেই বরেণ্য। ওঁরা গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে।’
আরও পড়ুন: কুণালের মুন্সিয়ানায় মান ভাঙল কাউন্সিলর মোনালিসার, ভোটের দায়িত্ব পেয়েই অনশন প্রত্যাহার
অন্যদিকে ইন্ডিয়া জোটের পক্ষে সওয়াল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কংগ্রেস ভিন রাজ্যে যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সেখানে ভাল করে লড়াই করার বার্তা দেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘কংগ্রেস যেখানে যেখানে লড়াই করছে ভাল করে লড়াই করুক, পুরো মদত দেব। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কাটতে আসবে না।’ অর্থাৎ কংগ্রেসকে শর্তসাপেক্ষে বার্তা দিলেন তৃণমূলনেত্রী। কংগ্রেস এটাকে কেমনভাবে নেয় এখন সেটাই দেখার। মালদা দক্ষিণ আসন ২০১৯ সালে জয়ী হন আবু হাসেন খান চৌধুরী। এবার তাঁর পুত্র ইশা খান চৌধুরীকে কংগ্রেস থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিজেপির এখানে প্রার্থী করেছে শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন শাহানাহাজ আলি রাহান।
এছাড়া বিজেপিকে সরাসরি কাঠগড়ায় তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাকে বঞ্চনা থেকে শুরু করে বিজেপির আগ্রাসী নীতির বিরুদ্ধে সওয়াল করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘একটাই নেতা থাকবে দেশে। আর তিনি বাকি দেশটাকে জেলখানায় পরিণত করবেন। আপনারাও কি তাই চান? যদি না চান, তাহলে দেশটাকে বাঁচান। বিজেপিকে ভোট দিলে জানবেন, ওরা আর নির্বাচনই হতে দেবে না। তাই ওদের ভোট দেবেন না। মা-বোনেরা দরকার হলে রান্না পরে করবেন। সকাল সকাল ভোট দিয়ে আসবেন। কারণ ভোটদান পবিত্র কর্তব্য। প্রসূনকে ভোট দিন। ও আপনাদের হয়ে সংসদে জোর গলায় কথা বলবে। আপনাদের কাজ করবে। ওদের বড় সাহস। বলছে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে দেবে। মনে রাখবেন, সাহস ভাল, কিন্তু দুঃসাহস ভাল নয়।’