রায়গঞ্জে তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর প্রচারে গিয়ে অভিনেতা ও বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে ‘গদ্দার’ বলে আক্রমণ করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মমতা দাবি করেন, ছেলেকে বাঁচাতে RSSএর অফিসে গিয়ে মাথা নীচু করে এসেছেন মিঠুন। মমতাকে এদিন তাঁর ভাষাতেই জবাব দিয়েছেন অভিনেতা।
মিঠুনকে আক্রমণ মমতার
এদিন রায়গঞ্জে মমতা বলেন, ‘এই মিঠুন চক্রবর্তীকে আমি রাজ্যসভার এমপি করেছিলাম। কিন্তু আমি জানতাম না ও বাংলার একজন বড় গদ্দার। RSS অফিসে গিয়ে মাথা নীচু করে দিয়ে এসেছিল শুধু নিজের ছেলেকে বাঁচানোর জন্য। আপনাদের মনে পড়ে ওর ছেলেকে ধরেছিল? বিয়ের পিঁড়িতে গিয়ে হানা দিয়েছিল। সেই ভয়ে রাতারাতি গদ্দার চলে গেল মুম্বইতে RSSএর অফিসে। আর গিয়ে বলছে আমি বিজেপির সেবক আছি। যারা দোআঁশলা। যাদের জীবনে কোনও অদর্শ নেই। জীবন যুদ্ধে লড়তে ভয় পায় তাদের আমি মানুষ বলে মনে করি না। যারা জীবন যুদ্ধে লড়তে পারে আমি তাদের মানুষ বলে মনে করি’।
পালটা দিলেন মিঠুন
মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে এদিন শিলিগুড়িতে রোড শো চলাকালীন মিঠুন বলেন, ‘উনি আমাকে গদ্দার, ভদ্দার যা খুশি বলুন। কিচ্ছু আসে যায় না। মানুষ সব ঠিক করবেন।’
এদিন মুখ্যমন্ত্রী যখন মিঠুনকে দোআঁশলা বলে আক্রমণ করছেন, বলছেন, জীবন যুদ্ধে লড়তে ভয় পায় তাদের আমি মানুষ বলে মনে করি না, তখন মঞ্চে বসে তাঁরই মনোনীত রায়গঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলবদল করে বিজেপির টিকিটে রায়গঞ্জ থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন যিনি। বিধায়ক হওয়ার ৩ মাসের মধ্যে তৃণমূলে ফেরেন কৃষ্ণ কল্যাণী। বিরোধীদের দাবি, তৃণমূলের সঙ্গে সংঘাতে গেলে নিজের বিপুল ব্যবসায় মুনাফা কমে যেতে পারে, এই আশঙ্কায় দলবদল করেন শিল্পপতি কৃষ্ণ কল্যাণী। এরকম ‘দোআঁশলা’ ব্যক্তিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টিকিট দিলেন কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।