কোচবিহারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা বৃহস্পতিবার। কোচবিহার রাসমেলা ময়দানে একেবারে কানায় কানায় পূর্ণ। আর সেই কোচবিহারে এসে এবার ২০১৯ সালের এই ময়দানের মিটিংয়ের কথা মনে করিয়ে দিলেন মোদী।
কী হয়েছিল সেদিন?
সেবারও ছিল লোকসভা ভোট। রাসমেলা ময়দানে সভার অনুমতিকে ঘিরে টালবাহানা চলছিল। তার উপর আগের রাতে বৃষ্টি। এদিকে সেই মাঠে তৃণমূলও মঞ্চ বানিয়েছিল। সেক্ষেত্রে কারা সভা করবে তা নিয়ে দড়ি টানাটানি একেবারে চূড়ান্ত জায়গায় যায়। শেষ পর্যন্ত সকালে সভা করেন মোদী। আর সেই সভাস্থলেই তৃণমূলের করা মঞ্চটি ঢাকা দেওয়া ছিল। ২০১৯এর সভাতে দাঁড়িয়ে মোদী সেদিন সেই মঞ্চকে নিশানা করে একের পর এক কটাক্ষ করেছিলেন।
আর তার ঠিক পাঁচ বছর পরে। এবারও সেই একই রাসলীলা ময়দান। এবারও প্রধান বক্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবারও বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। আর বৃহস্পতিবারের সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে সেই ২০১৯ সালের সেই সভার কথা মনে করালেন মোদী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের সভায় কোনও বাধা দেননি। আজ সবার আগে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রীকে, মমতা দিদিকে ধন্যবাদ। ২০১৯ সালের এই ময়দানে সভা করতে এসেছিলাম। তিনি বড় মঞ্চ করে ময়দান ছোট করে দিয়েছিলেন। যাতে লোকজন মোদীকে দেখতে না পান। আমি সেদিনই বলেছিলাম দিদি আপনি ভালো করেননি। জনতা আপনাকে জবাব দেবেন। তিনি আজ সেসব কিছু করেননি। আজ ময়দান খোলা রেখেছেন। আপনাদের দর্শন আমি করতে পেরেছি। আমি ধন্য। সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, বাংলার সরকার কোনও বাধা না দেওয়ায় আপনাদের দর্শন করতে পারলাম আমি।
আর ২০১৯ সালে ঠিক কী বলেছিলেন মোদী?
সেদিন তিনি বলেছিলেন, দিদির পরাজয়ের স্মারক। দিদির বিনাশের স্মারক। এই যে মঞ্চ বানানো হয়েছে, যাতে আপানাদের জায়গা কম থাকে। যেন ছোট বাচ্চার মতো। অনেক সময় দেখবেন পাড়ায় ঝগড়া হলে বাচ্চারা বলে তোকে এখান দিয়ে যেতে দেব না। এই যে ড্রামা করেছে, দিদি আর দিদির গোলামরা এটা দিদির চলে যাওয়ার চিহ্ন। বলেছিলেন মোদী।
২০২৪ সালে কোচবিহারে একেবারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। তৃণমূল আর বিজেপি উভয়ের কাছেই এবার একেবারে মর্যাদার লড়াই। এই আসনে এবার দাঁড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। বিজেপি ও তৃণমূল দাপিয়ে প্রচার করছেন। সেই সময় কোচবিহারে এসে ২০১৯ সালের সভার কথা মনে করিয়ে দিলেন মোদী। আর সেই ২০১৯ সালেই সংসদে গিয়েছিলেন নিশীথ প্রামাণিক।