গত কয়েকদিন ধরেই নানা জল্পনা চলছিল। শেষ পর্যন্ত বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিল পিএমকে। ১০টি আসনে তারা লড়াই করবে বলে ঠিক করা হয়েছে। সালেমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা রয়েছে। তার আগে আসন সমঝোতা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল পিএমকে ও বিজেপি। দক্ষিণভারতের ক্ষেত্রে এই আসন সমঝোতা অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, উত্তরভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। কিন্তু দক্ষিণভারতে আসন দখল করা এবার বিজেপির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
পিএমকের প্রতিষ্ঠাতা এস রামাদোস, পিএমকে প্রেসিডেন্ট আনবুমানি রামাদোস ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে আন্নামালাইয়ের মধ্য়ে এই আসন সমঝোতা নিয়ে পারস্পরিক বোঝাপড়া হয়েছে।
থাইলাপুরমে সোমবার রাতে একটি মিটিং করেছিল পিএমকে। সেখানেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে তারা এনডিএ-তে যোগ দেবে। মিটিংয়ের পরে পিএমকের সাধারণ সম্পাদক ভাদিভেল রাবানন এই সমঝোতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এবার আগের রাজনৈতিক সমীকরণগুলি একবার দেখে নেওয়া যাক। ২০১৪ সালের ভোটে পিএমকে এনডিএর মধ্য়ে থেকে লড়াই করেছিল। এরপর ধর্মপুরীতে তাঁরা একটা আসন পেয়েছিল। ২০১৯ সালে তারা ছিল AIADMK-এর একটি অংশ। সেই জোটের অংশ ছিল বিজেপিও। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে পিএমকে সাতটি আসনে লড়াই করেছিল। কিন্তু তারা একটি আসনেও জিততে পারেনি।
আনুবুমানি সাংবাদিকদের কাছে জানিয়েছেন ২০১৪ সাল থেকেই পিএমকে দিল্লিতে এনডিএর একটি অংশ হিসাবেই কাজ করত। আর এবারের ভোটে তামিলনাড়ুতে পিএমকে এনডিএ জোটের অংশ হিসাবে কাজ করবে।
আনুবুমানি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সুশাসন ও তামিলনাড়ুর ইতিবাচক পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ৬০ বছর ধরে এখানকার শাসকদল সাধারণ মানুষের মধ্য়ে ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টা করছে। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী ফের ফের ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবেন। এনিয়ে আমাদের মধ্য়ে কোথাও কোনও সন্দেহ নেই।
পিএমকে এনডিএর শরিক হিসাবে ১০টি আসনে লড়াই করার ছাড়পত্র পেয়েছে বলে খবর।