অন্যান্য ভোটারের মতোই ভোট দিতে এসেছিলেন জলপাইগুড়ির বাসিন্দা বিশ্বজ্য়োতি গুহ। কিন্তু বুথে এসে তিনি জানতে পারলেন তিনি মৃত। ১০১ নম্বর বুথে ভোট দিতে এসেছিলেন তিনি। আর সেখানেই তিনি জানতে পারলেন ভোটার তালিকায় তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু তিনি তো পুরোপুরি বেঁচে রয়েছেন। সেক্ষেত্রে কেন তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হল তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
১০১ নম্বর বুথের ভোটার তিনি। শুক্রবার মাকে নিয়ে ভোট দিতে এসেছিলেন তিনি। মা যথারীতি ভোট দেন। কিন্তু তিনি বুথে এসে জানতে পারেন ভোটার তালিকায় তাঁর নামের পাশে মৃত লেখা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই কোনও মৃত ব্যক্তির পক্ষে ভোট দেওয়া সম্ভব নয়। কার্যত নিয়মের বেড়াজালে ভোট দেওয়া হল না তাঁর।
কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হল?
বিশ্বজ্য়োতিবাবুর দাবি, ২০২২ সালে তাঁর বাবা প্রয়াত হয়েছিলেন। কিন্তু সকলকে অবাক করে বাবার জায়গায় ছেলের নামের পাশে লেখা হয়েছে তিনি মৃত। এর জেরে তিনি আর ভোট দিতে পারেননি প্রাথমিকভাবে।
এদিকে বিশ্বজ্যোতিবাবু নিজে সরকারি কর্মী। আগামী ৭ মে মালদায় লোকসভা ভোট হবে। সেখানে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁকেই। সেখানে ভোট গ্রহণ করতে যাবেন তিনি। আর সেই ব্যক্তিরই নামের পাশে লেখা রয়েছে মৃত। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই ঘটনার জেরে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়।
২০২২ সালে আমার বাবা মারা গিয়েছিলেন। কিন্তু ভোটার তালিকায় আমার নামের পাশে মৃত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আমি তো জীবন্ত। আমার মা ভোট দিলেন। আমি একজন সরকারি কর্মী। আমার ৭ মে মালদা উত্তরে আমি প্রিসাইডিং অফিসার হিসাবে ডিউটিতে যাব। কিন্তু আমাকে মৃত বলে দেখানো হয়েছে। আমাকে ভোটদান থেকে বিরত রাখা হল। এটা নিয়ে যদি কোনও সমস্যার সমাধান না হয় আমি উপরমহলে জানাব। প্রিসাইডিং অফিসার এনিয়ে আমায় কিছু জানাতে পারেননি। তিনি বলছেন উপরমহল থেকে যে তালিকা দেওয়া হয়েছে সেটাই আমি দিতে পারব।
এই ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। একজন ভোটারকে কেন ভোটার তালিকায় মৃত বলে ঘোষণা করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। একদিকে এর জেরে যেমন তাঁর ভোটদানের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়, তেমনি সামাজিকভাবেও তাঁর সম্মানহানি হয়। কেন এনিয়ে আগাম সতর্ক পদক্ষেপ নেওয়া গেল না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।