জমে উঠেছে হাওড়ায় লোকসভা ভোটের লড়াই। একদিকে বিজেপি প্রার্থী তথা হাওড়া পুরসভার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী। অন্যদিকে বিদায়ী সাংসদ তৃণমূলের প্রসূন বন্দ্যোপাধ্য়ায় রয়েছেন বিপরীতে। আর সেই বিদায়ী সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে কুম্ভকর্ণ বলে তীব্র কটাক্ষ করলেন রথীন চক্রবর্তী। তিনি জানিয়েছেন, বিদায়ী সাংসদ পাঁচ বছরের মধ্য়ে পৌনে পাঁচ বছর ঘুমিয়ে কাটান। আর বাকি তিন মাস জেগে উঠে তিনি বলেন, আমাকে ভোট দিন। তিনবার সাংসদ থাকাকালীন তিনি যতটা সময় ঘুমিয়েছেন তা কুম্ভকর্ণকেও ছাপিয়ে যায়।
এদিকে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ও অবশ্য বিজেপির অভিযোগের মোক্ষম জবাব দিয়েছেন। তিনি পালটা জানিয়েছেন, আমি কী কাজ করেছ তা সংসদের ওয়েব পোর্টালে পাওয়া যাবে। দরকার হলে সেই ওয়েব পোর্টাল থেকে যাবতীয় তথ্য় ডাউনলোড করে তা ছাপিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যাব। আর রথীনের যাবতীয় অভিযোগকে কার্যত উড়িয়ে দেন প্রসূন।
হাওড়ায় প্রচারের পাশাপাশি জনসংযোগও চলছে পুরোদমে। স্থানীয় মন্দিরে পুজোও দেন রথীন। তিনি বলেন, গত ৫ বছরে সংসদে হাওড়ার নামটুকু পর্যন্ত করেননি প্রসূনবাবু। শহরে দেখা যায় না। হাওড়ার রাস্তাঘাট থেকে সব কিছু একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে। শহর জঞ্জাল নগরীতে পরিণত হয়েছে। সেই সঙ্গেই তিনি বিরাট প্রতিশ্রুতি দিলেন। যদি সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হই তবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে হাওড়া শহরে পরিবর্তন আসবে।
জমে উঠেছে ভোটের লড়াই। বিনা যুদ্ধে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তেও রাজি নয়। হাওড়া এবার কার দখলে যাবে তা নিয়ে জোর চর্চা এলাকা জুড়ে।
নানা দিক থেকে সমস্যায় জর্জরিত হাওড়া। একটা সময় নানা ধরনের শিল্প ছিল হাওড়াতে। কিন্তু বর্তমানে সেসব অনেকটাই আর নেই। কর্মসংস্থানকে কেন্দ্র করেও বাসিন্দাদের মধ্য়ে ক্ষোভ রয়েছে। সেই সঙ্গেই নাগরিক পরিষেবা নিয়েও হাজারো ক্ষোভ। সব মিলিয়ে বিজেপি মূলত এই ক্ষোভকে উসকে দিয়ে রাজনৈতিক জমি শক্তপোক্ত করার চেষ্টা করছে।
একে অপরের বিরুদ্ধে বাক যুদ্ধও চলছে। একজন বলছেন তৃণমূলের প্রার্থী হলেন কুম্ভকর্ণ। আর অন্যদিকে বিজেপির এই দাবিকে পাগলের প্রলাপ বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন তৃণমূল প্রার্থী। বাস্তবে কে কতটা সত্যি বলছেন, কে কথার আড়ালে নানা প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করছেন সবটাই খতিয়ে দেখছে সাধারণ মানুষ। বলা ভালো সাধারণ মানুষ মেপে নিচ্ছেন রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের কথা।