ঝড় উঠলেই বুকটা এখন দুরু - দুরু করে। ছুটে আসে পাশে কোনও পাকা বাড়িতে আশ্রয় নেন গ্রামের বাসিন্দারা।গত ৩০ মার্চের টর্নেডোর আতঙ্ক বুকে নিয়েই ভোটের লাইনে দাঁড়ালেন জলপাইগুড়ির বার্নেশ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। সর্বস্ব হারিয়ে অনেকেই শুধুমাত্র ভোটার স্লিপ হাতে নিয়ে যোগদান করলেন গণতন্ত্রের উৎসবে। তবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গ্রামবাসীদের অনেকের সেই সুযোগ হল না।
ভোটের লাইনে বার্নেশ
গত ৩০ মার্চ বিকেলে বিধ্বংসী টর্নেডোয় তছনছ হয়ে যায় জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার একাংশ। এই এলাকার বাসিন্দারা সম্পূর্ণ টিন দিয়ে বাড়িতে বাস করেন। কয়েক মিনিটের ঝড়ে খেলনার মতো উড়ে যায় একের পর এক বাড়ি। টর্নেডোয় সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বার্নেশ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। তার পর ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে রাজনীতি কম হয়নি। সে সব পার করে শুক্রবার ভোটের লাইনে দাঁড়ালেন বার্নেশ গ্রামের বাসিন্দারা।
ঝড়ে উড়ে গিয়েছিল আধার কার্ড
গ্রামের বাসিন্দা শিবু রায় বলেন, ‘ঝড়ে বাড়ি উড়ে গিয়েছে। কাগজ পত্রও সব উড়ে গিয়েছিল। টর্নেডোয় প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে রাজারহাটে গিয়ে পড়েছিল আমার আধার কার্ড। সেখানকার এক ব্যক্তি ঠিকানা দেখে আমাকে কার্ড ফেরত দিয়ে গিয়েছেন। সেই কার্ড দেখিয়ে ভোট দিলাম।’
তিনি বলেন, ‘টর্নেডোয় এলাকার বাসিন্দাদের মনে একটা ক্ষত তৈরি হয়েছে। অনেকে প্রিয়জনকে হারিয়েছেন। অনেকের বাড়ির লোক আহত হয়েছেন। যে ক্ষতি হয়েছে তা ১৫ বছরেও আমরা পূরণ করতে পারব না।’
তবে ভোট দিতে কোনও সমস্যা হয়নি বলে জানালেন তিনি। বলেন, ‘আমি আধার কার্ড দেখিয়ে ভোট দিয়েছি। অনেকের সব কাগজই হারিয়ে গিয়েছে। তারা ভোটার স্লিপ দেখিয়ে ভোট দিচ্ছেন। অনেকে হাসপাতাল থেকে টোটো করে এসে ভোট দিয়ে যাচ্ছেন।’