কাঁথি লোকসভার বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী। তবে সবথেকে বড় কথা তিনি রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই। বার বার তৃণমূল সরকার তাকে ডেকে পাঠাত থানাতে। কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমেন্দু রায়। আর যে আসন থেকে তিনি বিজেপির প্রার্থী হিসাবে দাঁড়ালেন সেই আসনেই এতদিন ছিলেন তাঁরই বাবা শিশির অধিকারী। বড় বিষয় এবার কাঁথিকে ঘিরে।
২০০৯ সাল থেকেই কাঁথির সংসদ হিসাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন শিশির অধিকারী। ২০১৯ সালে সেই আসন থেকেই তিনি তৃণমূলের টিকিটে জিতেছিলেন। আর সেই কেন্দ্রেই এবার বিজেপির প্রার্থী করা হচ্ছে সৌমেন্দু অধিকারীকে।
কাঁথি বরাবরই কার্যত অধিকারী পরিবারের খাসতালুক বলে পরিচিত। সেই কাঁথি থেকেই এবার বিজেপির প্রার্থী হিসাবে লড়বেন সৌমেন্দু অধিকারী। তবে নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই উচ্ছসিত সৌমেন্দু।
তবে সৌমেন্দু সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, কাঁথি আসন আমরা মোদীজিকে উপহার দেব। প্রার্থী কে সেটা বড় কথা নয়। তৃণমূলকে এখান থেকে বিদায় দিতেই হবে। বিজেপির সমস্ত কার্যকর্তাকে আমি ধন্য়বাদ জানাতে চাই। আজকে বেশ আনন্দের দিন। সকলকে ধন্য়বাদ জানাতে চাই। এত বড় সম্মান আমায় বিজেপি দেবে এটা আমিও আশা করিনি। আমাদের সংগঠনে ভরসা রয়েছে। চিন্তার কিছু নেই। তৃণমূলের আর অত দম নেই। সকলে মিলে রয়েছি। লড়ে যাব।
শিশির অধিকারী যে আসন থেকে লড়তেন সেখানে প্রার্থী করা হল সৌমেন্দু অধিকারীকে। শিশির অধিকারীর পুত্র। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই কাঁথিতে কার্যত শিশির অধিকারী ও শুভেন্দু অধিকারীর নামে ভোট হয়। সেকারণে এই আসনে স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সৌমেন্দু অধিকারী তৃণমূলে থাকাকালীনও বার বারই দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতেন। আবার অন্য়দিকে শিশির অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠেছে। তিনি বিগত দিনে প্রধানমন্ত্রীর সভাতেও হাজির হয়েছিলেন। কার্যত শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যাওয়ার পর থেকেই গোটা অধিকারী পরিবারও সেই দিকে ঝুঁকে যায়। সেক্ষেত্রে এই আসন থেকে ভাইকে জিতিয়ে নিয়ে আসাটা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। শেষ পর্যন্ত এই চ্যালেঞ্জ তিনি রক্ষা করতে পারেন কি না সেটাও দেখার।
বাবার আসনে দাঁড়ালেন শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু। কিন্তু অনেকের মতে আসল অগ্নিপরীক্ষা তো শুভেন্দু অধিকারীর। এর আগে নন্দীগ্রাম আসন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে পরাজিত করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার কি ভাইকে জিতিয়ে আনতে পারবেন?