বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূলকে বরাবর আক্রমণ করে এসেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলে থাকার সময় ‘নারদ কাণ্ডে’ নাম জড়িয়ে ছিল বিরোধী দলনেতার। সেই তৃণমূলের প্রসঙ্গ তুলেই সংগঠনের হয়ে নিজের কাজের জন্য আফসোস করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, তৃণমূলের হয়ে সংগঠন করাটা তাঁর ভুল হয়েছিল।
আরও পড়ুন: কলকাতায় কোথায়, কত বেআইনি নির্মাণ? তথ্য জানতে চেয়ে আরটিআই শুভেন্দুর
নদিয়ার অন্তর্গত করিমপুর পড়ছে মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে। সেখানে বুধবার তিনি নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। সেই প্রচারের সভা থেকেই এমন মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা। যার নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এদিন সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, একসময় তৃণমূলে থাকাকালীন তিনি এই সমস্ত এলাকায় প্রচার করেছেন। সংগঠনের কাজ করেছেন। এখন তিনি বুঝতে পারছেন তৃণমূলের হয়ে সংগঠন করাটা তাঁর ভুল ছিল।
এদিকে, এদিন বিজেপি কর্মীরা অভিযোগ তোলেন পুলিশ দিয়ে তাদের আটকানো হয়। সংবাদমাধ্যমের সামনে তারা জানান, তারা যাতে সভায় আসতে না পারেন তারজন্য পুলিশ দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বাস আটকানো হয়েছে। যদিও পুলিশের দাবি কোনওভাবেই বাস আটকানো হয়নি। সেটা করা হয়েছিল যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য অন্য কোনও উদ্যেশ্যে নয়। তবে শুভেন্দু বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, পুলিশই আর কয়েকদিন পর গাড়িতে করে সভায় পৌঁছে দেবে।
এ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে পালটা আক্রমণ করেছেন মুর্শিদাবাদে বিদায়ী সাংসদ আবু তাহের খান। তিনি বলেছেন, ভোটের আগে এখন ওসব বড় বড় কথা বলছেন। তিনি একসময় জেলায় কীভাবে তোলাবাজি করেছেন তা সবার জানা আছে এখন দলবদল করে প্রায়শ্চিত করতে চাইছেন। কিন্তু, তাঁর পাপের দায় দল নেবে না।
উল্লেখ্য, তৃণমূলে থাকার সময় পরিবহণ মন্ত্রী ছিলেন শুভেন্দু। একুশের বিধানসভার আগে ২০২০ সালের নভেম্বরে শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের মন্ত্রী সভা থেকে ইস্তফা দেন। এরপর ডিসেম্বরে তিনি বিধানসভায় গিয়ে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। তার ঠিক পরেই তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় পরাজিত করে বিধায়ক হন।