লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার পর প্রথম রক্ত ঝরল। ক্যানিংয়ে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে জখম হয়েছেন দুপক্ষে অন্তত সাতজন। এঁদের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের ৩জন এবং ৪জন বিজেপি কর্মী বলে দু’দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। এই অশান্তির জন্য তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার দিকে আঙুল তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এই ঘটনায় কমিশনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু লেখেন, 'তৃণমূলের গুন্ডার বিজেপি কার্যকর্তাদের উপর হামলা চালিয়েছে। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার ঘনিষ্ঠ হোসেন শেখ এই কাজ করেছে। সন্দেশখালির শাহজাহানের মতো ক্যানিং-এ দাপট দেখান শওকত।'
আর পড়ুন। তৃণমূল–বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত ক্যানিং, লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ঝরল রক্ত
এই ঘটনায় তিনি নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। শুভেন্দু লিখেছেন, '২০২১ সালের মতো ভোট পরবর্তী হিংসা এবং ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো যদি রক্তপাত যদি কমিশন সত্যি বন্ধ করতে চায়, কবে এটাই হল সঠিক সময় হস্তক্ষেপ করার।' তিনি হোসেন শেখকে বন্দি এবং শওকত মোল্লাকে নজরদারিতে রাখার আবেদন জানিয়েছেন কমিশনের কাছে।
রবিবার ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার অন্তর্গত জীবনতলা থানার মাঠেরদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষের মধ্যে। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি এবং দলের আরও এক কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁদের কর্মীদেরকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন। ‘খুন’ BJP কর্মী, লাঠি-ঝাঁটা নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর নিদান হিরণের
বিজেপির জয়নগর সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সর্দারের অভিযোগ, সরকারি অনুমতি নিয়ে জীবনতলার মাঠেরদিঘি এলাকায় কর্মীসভা চলছিল। সেখানে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ঢুকে পড়ে এবং বেধড়ক মারধর করা হয়। পুলিশকে হামলার কথা জানানো হয়েছে।
এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। উল্টে তাদের উপরই হামলা করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের ক্যানিং পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, ‘আমাদের দলীয় কর্মীরা মোটরবাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তখন বিজেপির কর্মীরা কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করে। সেখান থেকেই গণ্ডগোলের সূত্রপাত। অশান্তির জেরে আমাদের কয়েকজন কর্মীও জখম হয়েছেন।’