১৯ এপ্রিল দেশের ১০২টি কেন্দ্রে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তবে ভোট দানের পরিমাণ গতবারের থেকে অনেকটাই কম। তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের তুলনায় এবারের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ৩ শতাংশ ভোট কম পড়েছে। প্রথম দফায় ২১ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে ১৯ টিতে ভোটদানের হার কমেছে। এই অবস্থায় আগামী দফাগুলিতে ভোটদানের হার বাড়ানোর ওপর জোর দিতে চায়ছে কমিশন। সেক্ষেত্রে কী ত্রুটি রয়েছে তা খুঁজে বের করে কৌশল ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
আরও পড়ুনঃ ‘ভোটদানের হার ৮০ শতাংশ মানে আমরা থাকছি’, প্রথম দফার পর দাবি সুব্রতর
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে এই ১০২ টি কেন্দ্রে ৬৯.২ শতাংশ ভোট পড়েছিল। সেক্ষেত্রে এবার ভোট পড়েছে ৬৬ শতাংশ। ভোট কমে যাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্নের কথা স্বীকার করেছেন নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক। যদিও ভোটারদের ভোট দানে উৎসাহিত করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল নির্বাচন কমিশন। সেক্ষেত্রে ১০ জন সেলিব্রেটির মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছিল। আইপিএলের দর্শকদের ভোটদানে উৎসাহিত করার জন্য বিসিসিআইয়ের সঙ্গেও চুক্তি করেছিল। এছাড়াও ভোটদানকে একটি আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা হিসেবে বর্ণনা করার জন্য পোলিং বুথের সুবিধা আরও উন্নত করা হয়েছিল। তারপরেও ভোটদানের হার কমেছে।
ইতিমধ্যেই এবিষয়টি বিশ্লেষণ করার জন্য বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন। তাতে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আজ সোমবার ভোটগ্রহণ বাস্তবায়ন কর্মসূচির অধীনে আরও বিভিন্ন কৌশল ঠিক করা হবে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ভোটদানের হার কমে যাওয়া একাধিক কারণ খুঁজে পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। তার মধ্যে প্রথমেই যে কারণ উঠে এসেছে সেটি হল গ্রীষ্মের দাবদাহ। আধিকারিকদের মতে, প্রবল গরমের কারণে এবার ২০১৯ সালের তুলনায় ভোট কমেছে। তাছাড়া, অনেকেই ভোটের ফলাফল পূর্বনির্ধারিত ভেবে ভোটদানে উদাসীনতা দেখিয়েছেন। এছাড়াও, এই সময়ে বিয়ের মরশুম থাকার ফলে ভোটদানের হার কমেছে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে শুধুমাত্র ছত্তিশগড়, মেঘালয় এবং সিকিমে গতবারের তুলনায় বেশি ভোট পড়েছে। তবে নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান ও মিজোরামে গতবারের তুলনায় ভোটদানের হার সবচেয়ে কম। আবার বিহার, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, তামিলনাড়ুতেও ভোটদানের হার কমেছে। আবার পশ্চিমবঙ্গেও প্রথম দফায় ভোটদানের হার কমেছে। আগামী ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার ভোট। তার আগে নতুন কৌশল অবলম্বন করবে নির্বাচন কমিশন।