বর্ধমান পূর্ব লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকার। তাঁর সমর্থনে বুধবার প্রচারে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই রাজ্য সরকারকে নিশানা করে একের পর এক তির ছুঁড়লেন অমিত শাহ।
অমিত শাহ বলেন, গোটা দেশে বিকাশ হচ্ছে। আর বাংলা পিছিয়ে যাচ্ছে। এরপরই তিনি বলেন,' বাংলায় বিজেপিকে ৩০টি আসন দিন, বাংলাকে এক নম্বর রাজ্য়ে পরিণত করব। '
কার্যত শর্ত বেঁধে দিলেন অমিত শাহ। বাংলা থেকে যদি ৩০টি আসন পায় বিজেপি তবে বাংলাকে ১ নম্বর রাজ্য়ে পরিণত করার প্রতিশ্রুতি দিলেন শাহ।
সেই সঙ্গেই অমিত শাহ বলেন, ‘বাংলার উন্নয়নে ১০ লাখ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে। আপনারাই বলুন আপনাদের কাছে কি তা পৌঁছেছে?’ সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দল টাকা লুঠ করেছে।’ তিনি এদিন সন্দেশখালির প্রসঙ্গ তুলে তিনি একের পর এক আক্রমণ শানান। তিনি বলেন, ‘বাংলার মা বোনেদের উপর যারা অত্যাচার করেছে তাদের শাস্তি বিজেপি দেবেই। ’
বাংলায় বিজেপি কর্মীদের উপর যে নির্বিচারে অত্যাচার করা হয়েছে সেকথাও তুলে ধরেন তিনি। তিনি বলেন, আপনাদের যে কার্যকর্তাদের খুন করেছেন আপনারা, আমরা ক্ষমতায় আসার পরে পাতাল থেকে খুঁড়েও তাদের জেলে ভরব।
একের পর এক তীব্র আক্রমণ তৃণমূলকে নিশানা করে। প্রসঙ্গত গত বিধানসভা ভোটে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মুখে বার বার শোনা যেত সোনার বাংলা গড়ার ডাক। তবে এবার আর তেমনটা বিশেষ শোনা যাচ্ছে না। এবার যেটা বলা হচ্ছে সেটা হল বাংলাকে দেশের মধ্য়ে এক নম্বর আসনে বসানোর ডাক। তবে সেক্ষেত্রেও শর্ত আরোপ করা হয়েছে।
সেই সঙ্গেই অমিত শাহ এদিন বলেন, ‘আমাকে বলুন, আপনারা কি ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী বানাতে চান? মোদীজি কে প্রধানমন্ত্রী বানাতে চান? মোদীজি–কে প্রধানমন্ত্রী বানাতে চাইলে অসীম সরকারকে ভোট দিয়ে সাংসদ করুন। আগামী দিনে মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করুন। তবেই বাংলার মানুষও আয়ুস্মান প্রকল্প–সহ একাধিক সুবিধা পাবেন। যাঁরা বাংলার মানুষের টাকা আত্মসাৎ করেছেন তাঁদের উল্টে সোজা করার কাজ করবে মোদী সরকার।’
এদিকে রামমন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে মমতা ও অভিষেকের না যাওয়া প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, ‘মমতা দিদি ও ভাইপোকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। কিন্তু অনুপ্রবেশকারীদের ভয়েই তাঁরা রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন যাননি। অযোধ্যায় রামমন্দির করেছে বিজেপি সরকার। ৭০ বছর ধরে এই রামমন্দির ঝুলিয়ে রেখেছিল কংগ্রেস, তৃণমূল এবং কমিউনিস্টরা। মোদী সরকার ক্ষমতায় এসেই রামমন্দির করেছে। এবার মমতা দিদি–ভাইপোর বিদায় নেওয়ার পালা। বাংলার মানুষও চায় কাশ্মীরে ভারতের পতাকা উড়ুক। তাই মমতা দিদি আপনার না চাওয়াতে কিছু যায় আসে না।’