মুর্শিদাবাদে রামনবমীর মিছিলে বোমা ছোঁড়াকে কেন্দ্র করে ব্যপক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল সম্প্রতি। এবার হরিহরপাড়ার সভা থেকে সেই ঘটনাকেই সামনে এনে গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায় মমতার সভা। সেখান থেকে তিনি একের পর এক তির ছোঁড়েন গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করে। মমতা বলেন, ‘ছোট একটা ঘটনা ঘটিয়েছিল। আমি জায়গাটার নাম বললাম না। কালকে আবার ঘটিয়েছিল। ওসি আহত। আমার একজন ভাই আহত। পুলিশ দুজন আহত হয়েছে। কেন অস্ত্র নিয়ে মিছিল করবেন আপনারা? কে আপনাদের অধিকার দিয়েছে? অস্ত্র নিয়ে মিছিল করার অধিকার কে দিয়েছে? মণিপুরে চার্চ পুড়িয়ে দেওয়ার অধিকার কে দিয়েছে? মসজিদে গিয়ে বোমা মারার অধিকার কে দিয়েছে? কে অধিকার দিয়েছে দলিতদের উপর অত্যাচার করবার। কে অধিকার দিয়েছে সংখ্য়ালঘু দেখলেই এনআইএ ঢুকে পড়বার? ’
নাম না করে একের পর এক ক্ষেত্রে গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সংঘর্ষ যদি দুপক্ষের মধ্য়ে হয় তবে সেখানে একপক্ষকে কেন দায়ী করা হবে?
মমতার এই বক্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, কেউ যদি কোনও মিছিলের মধ্য়ে দুটো তরোয়াল নিয়ে থাকে, তবে সেটাকে অস্ত্র নিয়ে মিছিল বলা যায় না। তবে অস্ত্র নিয়ে সমস্ত মিছিলই বন্ধ করা দরকার। এটা মুখ্য়মন্ত্রী পারবেন না।
মুর্শিদাবাদের রামনবমীর মিছিলের ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী এমনটাই ধারণা করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। তবে মুখ্য়মন্ত্রী এদিন কোনও বিশেষ জায়গার নাম উল্লেখ করেননি। তবে তিনি যে সমস্ত মন্তব্য করেছেন তাতে আপাতভাবে মনে হচ্ছে তিনি মুর্শিদাবাদের কথাই বলতে চাইছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জের সভা থেকেও তিনি এই হিংসার প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘রাম নবমী হয়ে গেল সারা রাজ্যে। আর মুর্শিদাবাদের ঘটনা, আমি যদি বলি পরিকল্পিত ঘটনা, আজ সকাল থেকে এক তরফা ভাবে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মিথ্যে কথা বলে চলেছে। আর হিন্দু - মুসলমান বিভাজন করে চলেছে। আমি যদি পয়েন্টটা আপনাদের বলি, পরশুদিনের ঘটনা ঘটিয়েছিল কারা? আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, বিজেপি। একই জায়গায়। তার পরের দিন গিয়ে প্রথম আক্রমণ করল কারা? বিজেপির এমএলএ। দলবল নিয়ে গিয়ে’। তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আপনি রাম নবমীর মিছিল করতে গেছেন, অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করতে আপনাকে কে বলেছে? কে অধিকার দিয়েছে? মা দুর্গা এই অধিকার দেয়নি। মা দুর্গা অসুর বধ করেছিল। আপনাদের মতো অসুরদের বধ করার জন্য মা দুর্গার প্রয়োজন আছে’।