তৃণমূল কংগ্রেসকে জেতানো মানে সন্দেশখালির মতো অত্যাচার করার লাইসেন্স দেওয়া। বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরে বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের সমর্থনে ভোটপ্রচারে এসে এমনই দাবি করলেন দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অমিত শাহ প্রশ্ন করেন, আপনার নাকের ডগায় দিনের পর দিন মহিলাদের ওপর অত্যাচার হল কী ভাবে?
মমতাকে অমিত শাহের প্রশ্ন
এদিন অমিত শাহ বলেন, ‘মমতা দিদি আপনি তো মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। একটা কথা আমি আপনার কাছে জানতে চাই। সন্দেশখালির মতো লজ্জাজনক ঘটনা নিয়েও আপনি রাজনীতি করছেন? বছরের পর বছর আপনার নাকের তলায় মহিলাদের ওপর অত্যাচার হচ্ছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডারা অত্যাচার করছিল। তাদের ধরতে গেলে ইডির ওপর ইটবৃষ্টি করা হল। হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পরে আত্মসমর্পণ করল’।
মমতাকে অমিত শাহের প্রশ্ন, ‘আমি আজ মমতা দিদিকে প্রশ্ন করতে চাই। তোষণের রাজনীতি করে কয়েকটা ভোট পাওয়ার জন্য সন্দেশখালির অপরাধীদের আপনি রক্ষা করছেন? গোটা বাংলার মা - বোনেরা জেনে গিয়েছে যে আপনি সন্দেশখালির অপরাধীদের সঙ্গে রয়েছেন'।
এর পরই তিনি বলেন, 'মা ও বোনেরা, আমাকে বলুন, সন্দেশখালির অপরাধীদের যার বাঁচায় তাদের কখনও ভোট দেওয়া কি উচিত? কে বাঁচাচ্ছে সন্দেশখালির দোষীদের? তৃণমূল কংগ্রেসকে জেতানো মানে সন্দেশখালির মতো অত্যাচার করার লাইসেন্স দেওয়া। মোদীজিকে জেতানোর মানে, সোনার বাংলা গঠন’।
শাহজাহানের পাশে মমতা
৫ জানুয়ারির EDর ওপর হামলার ঘটনার পর ফেরার হয়ে যায় শেখ শাহজাহান। এর পর তার সমর্থনে বিধানসভার ভিতরে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি করেন, শাহজাহানকে গ্রেফতার করে সন্দেশখালি দখল করতে চাইছে BJP ও RSS. শাহজাহানের পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ওকে কি কেউ হামলা করতে দেখেছে? আমি তো দেখিনি।’
এদিন CAA নিয়েও রাজ্যের উদ্বাস্তুদের আশ্বাস দেন অমিত শাহ। বলেন, উদ্বাস্তুদের আশ্বস্ত করে অমিত শাহ বলেন, ‘নির্ভয়ে যত উদ্বাস্তু এসেছেন CAA-তে আবেদন করুন। কারও ওপরে কোনও কেস হবে না। এটা মোদী সরকারের আইন। এতে কেউ বদল আনতে পারবে না। মমতা দিদি, যত বিরোধিতা করতে চান করুন। আমরা যত হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ উদ্বাস্তু এসেছেন তাদের সবাইকে নাগরিকত্ব দেব। এটা আমাদের প্রতিশ্রিতি’।
মমতাকে অমিত শাহের প্রশ্ন, ‘আমি মমতা দিদির কাছে প্রশ্ন করতে চাই। যে হিন্দু - বৌদ্ধ – শিখ উদ্বাস্তুরা এসেছেন তারা নাগরিকত্ব পেলে আপনার কী সমস্যা? একদিকে অনুপ্রবেশকারীদের লাল কার্পেট পেতে স্বাগত জানাও, রোহিঙ্গাদের স্বাগত জানাও, উলটো দিকে যে হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ উদ্বাস্তুরা এসেছেন, তাদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছো? দিদি আপনার চিঁড়ে ভিজবে না। মোদীজি রুলস নোটিফাই করে দিয়েছেন। বাংলার সমস্ত উদ্বাস্ত নির্ভয়ে আবেদন করুন। এই দেশে আমার যতটা অধিকার, ততটা অধিকার আপনারও’।