রেশন দুর্নীতির তদন্তে ইডি হেফাজতে থাকা তৃণমূলি মাফিয়া শেখ শাহজাহানের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি। সোমবার বিধাননগরে ED দফতরে শাহজাহানের স্ত্রী তসলিমা বিবিকে প্রায় ১১ ঘণ্টা জেরা করেন তদন্তকারীরা। রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে শেখ শাহজাহানও বর্তমানে ইডি হেফাজতে রয়েছে। তবে এদিন স্ত্রীকে তার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে কি না তা জানা যায়নি।
হাজিরা দিলেন শাহজাহানের স্ত্রী
রেশন দুর্নীতির কালো টাকা বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ ও বিদেশে পাচারের অভিযোগ উঠেছে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে। এব্যাপারে গত সপ্তাহের তাকে হেফাজতে নিয়ে জেরা শুরু করেছে। শাহজাহানের সম্পত্তির হদিস পেতে সোমবার তার স্ত্রী তসলিমা বিবিকে তলব করে ইডি। ইডির তলবে সকাল ১০টায় CGO কমপ্লেক্সে পৌঁছন তসলিমা। ১১ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত ৯টা নাগাদ সেখান থেকে বেরোন তিনি। তবে বেরনোর সময় সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি তসলিমা।
তথ্য পেতে জেরা
ইডি সূত্রে খবর, শাহজাহানের বেআইনি ব্যবসার ব্যাপারে তার স্ত্রীর কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে জমি সংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তারা। রেশন দুর্নীতির কালো টাকায় উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাসহ বিভিন্ন জায়গায় নামে - বেনামে জমি কিনে রেখেছে শাহজাহান ও তার অনুগামীরা। সেই সব জমির হদিশ পেতে এদিন তসলিমা বিবিকে প্রশ্ন করেন তদন্তকারীরা। একই সঙ্গে শাহজাহানের ভেড়ির কারবারে কারা কারা যুক্ত। কী ভাবে লেনদেন হত সেব্যাপারেও প্রশ্ন করেন তাঁরা। সূত্রের খবর, শাহজাহানের বেশ কয়েকটি লেনদেন তাঁর স্ত্রীর নামে করা হয়েছে। সেগুলির ব্যাপারে তসলিমা বিবি কিছু জানেন কি না সেই প্রশ্নের সামনেও পড়তে হয়েছে তাঁকে।
সিল খোলার আবেদন
ওদিকে তার বাড়ির সিল খুলে দিতে PLMA আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছে শাহজাহান। আবেদনে বলা হয়েছে, তল্লাশি চালিয়ে তার বাড়ি সিল করে দিয়েছে ED. এর ফলে তার পরিবারের সদস্যদের থাকতে সমস্যা হচ্ছে। তাই অবিলম্বে বাড়ির সিল খুলে দিক ইডি।
শাহজাহানের আবেদন গ্রহণ করলেও আদালত জানিয়েছে, ED যে সব নথি জমা দিতে বলেছে তা তদন্তকারীদের হাতে তুলে দিলেই বাড়ির সিল খুলে দেওয়া সম্ভব।
গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে কয়েক হাজার দুষ্কৃতীর হাতে আক্রান্ত হন EDর আধিকারিকরা। এর পর ৫৫ দিন ফেরার থাকার পর গত ২৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হয় শেখ শাহজাহান।