জাতীয়তাবাদের পালটা হিসেবে এবার মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছে বিরোধীরা। আর সেই 'ইন্ডিয়া' (INDIA বা ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স) কৌশলেই বাজিমাত করতে চাইছেন বিরোধী দলনেতারা। যা কংগ্রেসের ওয়াইনাডের সাংসদ রাহুল গান্ধীর কথায় উঠে এল। তিনি দাবি করলেন, ইতিহাসের পাতা ওলটালেই দেখা যাবে যে যাঁরা 'INDIA'-র ধারণার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, তাঁরা কোনওদিন জিততে পারেননি। হেরে ময়দান ছাড়তে হয়েছে। এবারও ঠিক সেটাই হবে নরেন্দ্র মোদীর বিজেপির ক্ষেত্রে। ২০২৪ সালের নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরকে হারতে হবে।
মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে দু'দিনের বিরোধী জোটের বৈঠকের শেষে রাহুল বলেন, ‘আমরা আমাদের মহান দেশের ভাবধারাকে রক্ষা করছি। আমরা ভারতের ধারণাকে রক্ষা করছি। আপনারা জানেন, যখন কেউ ভাবতের ভাবধারার বিরোধিতা করে বা সেই ভাবধারার বিরুদ্ধে লড়াই করে, তখন সেটায় কে জয়ী হয়। আপনারা ইতিহাস ঘেঁটে দেখে নিতে পারেন যে কেউ ভারতের ভাবধারার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারেনি। এটা ভারতের ভাবধারা এবং বিজেপির মতাদর্শের মধ্যে লড়াই। এটা ইন্ডিয়া এবং বিজেপির মধ্যে লড়াই। এটা ইন্ডিয়া এবং মিস্টার নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে লড়াই।’
তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, রাহুল যে কথাটা এত সহজে বলছেন, সেই কাজটা বাস্তবে অত সহজে হবে না। 'ইন্ডিয়া' নাম বেছে নিয়ে মাস্টারস্ট্রোক দিলেও কেন্দ্রীয় সরকার থেকে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। বিশেষত মুখে ঐক্যবদ্ধ জোটের কথা বললেও বাস্তবে সেটা কতটা হবে, তা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন আছে। যেমন - পঞ্জাব এবং দিল্লিতে কি একসঙ্গে লড়তে রাজি হবে কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি (আপ)? যদি দুুই দল একসঙ্গে লড়াই করে তাহলে ওই দুই রাজ্যে বিজেপি জোরদার ধাক্কা খেতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের মত।
একইভাবে পশ্চিমবঙ্গে কি কংগ্রেস এবং বামেদের আসন ছাড়তে রাজি হবে তৃণমূল কংগ্রেস? একাধিক মহলের দাবি, আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসকে দুটি আসন ছাড়তে রাজি হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। পালটা হিসেবে মেঘালয়ের দুটি আসনেই লড়াইয়ের প্রস্তাব দিয়েছে তৃণমূল।গতবার একটি আসনে জিতেছিল কংগ্রেস। সেই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস ও তৃণমূলেরও সমঝোতা হবে কিনা, তা নিয়ে ধন্দে আছে রাজনৈতিক মহলের। ওই মহলের মতে, শুধু ওই তিনটি রাজ্যে নয়, সারাদেশেই সেই সমস্যা হতে পারে।