পঞ্জাবে কংগ্রেসের শোচনীয় হারের পর নেট দুনিয়ায় ট্রোলের মুখে পড়লেন নভজ্যোত সিং সিধু। কেউ বললেন, রাজনীতি ময়দান ছেড়ে দেওয়ার জন্য আবার 'কপিল শর্মাকে ফোন করছেন' প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। কেউ আবার বললেন, ক্রিকেটার সিধু ভালো ব্যাটারকে রান আউট করতেন। তারপর নিজেই আউট হয়ে যেতেন। পঞ্জাবে কংগ্রেসের ক্ষেত্রেই সেই কাজটাই করলেন।
বৃহস্পতিবার পঞ্জাবের বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর কংগ্রেসের দৈন্যদশা ফুটে উঠেছে। যে কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল, সেই দলের আসন সংখ্যা ১৭-তে (জয় এবং এগিয়ে ধরে) নেমে গিয়েছে। ২০১৭ সালের থেকে ৬০ টি আসন কমেছে কংগ্রেসের। অথচ বছরখানেক আগেও শিরোমণি অকালি দল এবং বিজেপির বিচ্ছেদের জেরে পঞ্জাবে কংগ্রেসের কার্যত কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। সঙ্গে কৃষক আন্দোলনের সুবিধাও পাচ্ছিল কংগ্রেস।
কিন্তু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে সিধুর ‘ঝামেলা’ শুরু হয়। ভোটের মাসকয়েক ইস্তফা দেন অমরিন্দর। তারপর চরণজিৎ সিং চান্নিকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁকেও তোপ দাগতে থাকেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। দলের সভাপতি দলেরই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যেভাবে মুখ খুলছিলেন, তাতে হিতে বিপরীত হয়। কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্বের পুরো ফায়দা তুলেছে আম আদমি পার্টি (আপ)। ১১৭ টি আসন-বিশিষ্ট বিধানসভায় ৯০ টি আসন জয়ের পথে এগিয়ে চলেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালরা। রাজনৈতিক মহলের টিপ্পনি, কংগ্রেসকে ‘হিট উইকেট’ করে দিয়েছেন সিধু।
একই কথা মনে করছে নেট দুনিয়া। সিধুকে নিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে প্রচুর মিম। যে সিধু অমৃতসর পূর্ব কেন্দ্র থেকে নিজেও হারছেন। এক নেটিজেন বলেন, ‘সিধু কংগ্রেসের সঙ্গে যে কাজটা করেছেন, সেটা ক্রিকেটার থাকার সময় একাধিকবার করেছেন - ভালো ব্যাটারকে রান আউট করতেন। তারপর নিজেই আউট হয়ে যেতেন।’ অপর একজন বলেন, ‘কপিল শর্মাকে ফোন করছেন সিধু।’ যিনি একটা সময় জনপ্রিয় কমেডি শোয়ে থাকতেন।
থাকতেন।