আগামী ৩০ নভেম্বর তেলেঙ্গানায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি। সংখুলঘুদের মন পেতে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দিলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী তথা ভারত রক্ষা সমিতির প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাঁর দল আবার ক্ষমতায় আসলে মুসললিম যুবকদের জন্য একটি বিশেষ তথ্য প্রযুক্তি পার্ক স্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: ভরা সভায় 'ক্ষমা' চাইলেন মোদী, জড়িয়ে ধরলেন কাঁদতে থাকা দলিত নেতাকে
মহেশ্বরমে বিআরএসের পক্ষ থেকে একটি সভার আয়োজন করা হয়। এই কেন্দ্রের দলের প্রার্থী হয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী সবিতা ইন্দ্র রেড্ডি। সেখানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে চন্দ্রশেখর রাও বলেন, ‘আমরা মুসলিম যুবকদের কথা ভাবি। তাদের জন্য হায়দরাবাদের কাছে একটি বিশেষ আইটি পার্ক তৈরি করব। আইটি পার্কটি পাহাড়ি শরীফের কাছে থাকবে।’ তিনি জানান, তাঁর সরকার সকলের সঙ্গে সমান আচরণ করে এবং সবার জন্য সমান সুযোগে বিশ্বাস করে। তিনি বলেন, ‘আমরা পেনশন দিচ্ছি যা মুসলমানরাও পাচ্ছে। আমরা আবাসিক স্কুল খুলেছি যেখানে মুসলিম ছাত্ররাও পড়াশোনা করে। আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে চাই।’
অন্যদিকে, এদিন বিজেপিকেও তিনি আক্রমণ করেছেন। চন্দ্রশেখর রাও পদ্মশিবিরকে নিশানা করে বলেন, ‘ বিজেপি দেশের পরিবেশ নষ্ট করছে। এতে কারও কোনও লাভ নেই। বিজেপিকে ভয় পাওয়ার দরকার নেই। তাদের মেয়াদ মাত্র কয়েক দিনের। তারা কেন্দ্রে আর বেশিদিন থাকবে না। মানুষ যখন বুঝতে পারবে, তখন তারাই বিজেপিকে তাড়িয়ে দেবে। তারপর দেশে আর কোনও অশান্তি ছড়াবে না।’
এছাড়াও, মুখ্যমন্ত্রী গত এক দশকে সংখ্যালঘু উন্নয়নে বিআরএস সরকারের অবদানের কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, মুসলিমদের উন্নয়নের জন্য তাঁর সরকার ১২ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে। অথচ আগের সরকার মাত্র ২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছিল। তিনি সারাজীবন তেলেঙ্গানাকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। এছাড়া, ২৪ ঘণ্টা বিনামূল্যে বিদ্যুৎ এবং পানীয় পাওয়ার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি কৃষি ব্যবস্থায় উন্নতির কথাও তুলে ধরেন এবং আশ্বস্ত করেন যে পরবর্তী এক দশক বা তারও বেশি সময়ে কৃষকরা আরও উপকৃত হবেন। তিনি আরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, বিআরএস পুনরায় নির্বাচিত হলে কৃষকদের আরও সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে।