বীরভূমের ময়ূরেশ্বর বিধানসভার বানাসপুর গ্রামে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় একজনের মৃত্যু ও আরও তিনজন আহত হয়েছেন বলে এলাকার বাসিন্দাদের দাবি। বোমা বাঁধা চলছিল। আর তা করতে গিয়ে মারাত্মক কাণ্ড ঘটেছে। সোমবার রাতে বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বাড়িতে বোমা বাঁধা হচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। আর তখনই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। যদিও দলীয় নেতৃত্ব বোমা বাঁধার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের পালটা দাবি, বোমা বাঁধা হচ্ছিল নাকি তৃণমূল কংগ্রেস নেতা–কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয়েছে, তা তদন্ত করলেই স্পষ্ট হবে। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ বানাসপুর গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা আনারুল শেখের বাড়িতে বহু লোক জমায়েত হয়ে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। তখনই বোমা ফেটে গিয়ে বিপত্তি ঘটে।
ঘটনাস্থল বীরভূমের মল্লারপুর এলাকার বানাসপুর গ্রাম। স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার রাতে এলাকার সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি আনারুল শেখের বাড়িতে বোমা বাঁধা হচ্ছিল। বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। তাতেই আর এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী জার্মান শেখ গুরুতর জখম হন। প্রথমে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বর্ধমানের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান মল্লারপুর থানার পুলিশ। তবে পুলিশ আহত বা নিহত হওয়ার ঘটনা অস্বীকার করেছে।
এই বিষয়ে বিজেপির ময়ূরেশ্বর মণ্ডলের সভাপতি সুশান্ত দে বলেন, ‘এভাবে ভোট বানচালের চেষ্টা করছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিস্ফোরণস্থলে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সেই দেহ লোপাট করে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি তথা ময়ূরেশ্বর বিধানসভার প্রার্থী অভিজিৎ রায়।’ অভিযোগ খারিজ করে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, ‘তাঁরা বোমা বাঁধছিল নাকি তাঁদের উপর বোমা মারা হয়েছে বিষয়টি পুলিশকে তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে। তদন্তের পরই বিষয়টি স্পষ্ট হবে।’