রাজ্যে বিজেপি সরকার আসছে। ২০০ আসন নিয়ে সরকার গড়বে বিজেপি বাংলায়। সোনার বাংলা গড়ে তোলা হবে। এই কথা প্রধানমন্ত্রী থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবা বাংলার বিজেপি নেতারা দাবি করে চলেছেন। এই দাবির পাশাপাশি বেলাগাম হয়েছে খরচও বলে অভিযোগ। তাই বিজেপি প্রার্থীদের খরচে লাগাম টানতে নতুন করে বার্তা এল খোদ অমিত শাহের কাছ থেকে। আর তাতেই দলের অন্দরে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কারণ প্রার্থীদের খরচ নিয়ন্ত্রণে দলের রাজ্য নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন অমিত শাহ। এমনকী দলের দেওয়া টাকা প্রার্থীরা কে, কতটা, কীভাবে খরচ করছেন তার হিসেবও চেয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
হঠাৎ এই নির্দেশে বেশ চর্চা শুরু হয়েছে বঙ্গ–বিজেপির নেতাদের মধ্যে। অনেক প্রার্থী অযথা খরচ করছেন এবং করেছেন বলে রিপোর্ট পৌঁছেছে শাহের হাতে। আবার অনেকে দলের দেওয়া টাকা প্রচারে পুরোটা খরচ না করে রেখে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ, নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া নিয়মের বাইরে খরচ একদমই নয় এবং অর্থের অপচয় না হয়। প্রার্থীরা যাতে নিয়ম ভেঙে নগদে লেনদেন না করেন তা দেখতে বলা হয়েছে। কোনওরকম অভিযোগ যাতে না ওঠে তার জন্যই এই নির্দেশ বলে বিজেপি সূত্রে খবর।
এই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রথম থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে ‘অর্থবল’–এর অভিযোগ তুলেছে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘বিজেপি টাকা ছড়াচ্ছে’ বলে অভিযোগ তুলেছেন। প্রকাশ্য জনসভা থেকে জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। আর তৃণমূল কংগ্রেস যাতে কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ তুলতে না পারে সে কথা দলের নেতাদের জানিয়ে অমিত সতর্ক করেছেন। এই বিষয়ে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘হিসেব নিয়ে আলাদা করে সতর্ক করা বা হওয়ার কিছু নেই। বিজেপি সব সময়েই আর্থিক স্বচ্ছতাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়। রাজ্য সেই মতোই খরচ হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ঘাটাল লোকসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষের গাড়ি থেকে নগদ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল বিজেপিকে। পিংলায় ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৮৯৫ টাকা উদ্ধারের পাশাপাশি ভারতীকে আটকও করে পুলিশ। যদিও তাঁকে ফাঁসানোর দাবি করেছিলেন ভারতী।
জানা গিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনে খরচ কমানোর নির্দেশও দিয়েছেন অমিত শাহ। যে রাস্তা গাড়িতে যাওয়া যায় সেখানে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা যাবে না। হেলিকপ্টার নিলেও এমন জায়গায় নামতে হবে যাতে গাড়িতে করেই বাকি কর্মসূচি সেড়ে ফেলা যায়। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো একজন বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী প্রচারে সর্বাধিক ৩০ লাখ ৮৮ হাজার টাকা খরচ করতে পারেন। তবে প্রার্থী পিছু কত টাকা দল দিয়েছে তা নিয়ে কেউ মুখ খুলতে চাইছেন না।