প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতে পারে। আগামী ৭ মার্চের পর যে কোনওদিন তা ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। এই ইঙ্গিতের পর থেকেই নানা জল্পনা–কল্পনা তৈরি হয়েছিল। সেখানে বুধবার বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন। এখন প্রশ্ন উঠছে, এই বৈঠকের পরই কি বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা করবে কমিশন? সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ বৈঠকে উঠে আসতে পারে।
এদিকে বুধবার রাতেই শহরে পা রাখছেন উপ–নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। বৃহস্পতিবার সমস্ত জেলার পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পাশপাশি ভোটকর্মীদের বিষয়টি নিয়ে রূপরেখা তৈরি করবেন বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় রুটমার্চ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এবার কলকাতায় আসতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই বিষয়েও তাঁরা আলোচনা করবেন বলে খবর। কারণ এই রাজ্যে ২৩,০০০ বুথ বেড়েছে।
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, লোকসভা–বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পাঠানো হয়ে থাকে। স্পর্শকাতর জায়গা বা বুথগুলি চিহ্নিত করে সেখানে মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, বিধানসভা নির্বাচন হতে চলা অপর তিন রাজ্য কেরল, অসম, তামিলনাড়ু এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরিতেও আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছে। কিন্তু করোনাকালে হাইভোল্টেজ নির্বাচনের কাজে অনীহা রয়েছে সরকারি কর্মীদের একটা বড় অংশের। ইতিমধ্যেই অনেকে চিঠি দিয়ে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। তার প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন কড়া পদক্ষেপ করে জানিয়েছে, সঠিক কোনও কারণ ছাড়া নির্বাচনের দায়িত্ব এড়ালে সাসপেন্ড করা হতে পারে সংশ্লিষ্ট ভোটকর্মীকে।