‘যদি নন্দীগ্রামে মমতা পরাজিত হন, তাহলেই সারা রাজ্যে তৃণমূল নিজের থেকে হারবে।’ মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে রোড শোয় যোগ দেওয়ার আগে দলীয় কার্যালয়ে বসে কর্মী—সমর্থকদের উদ্দেশ্যে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এদিন তিনি বলেন, ‘ নন্দীগ্রামে মমতা দিদিকে হারাতে পারলেই, এরাজ্যে কাঙ্খিত পরিবর্তন আসবে।আপনারা তাঁকে এই কেন্দ্র থেকে হারিযে দিলে, সারা রাজ্যে তৃণমূল স্বযংক্রিয়ভাবে হারবে।’
বিজেপি কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর জন্য অমিত শাহ আরও বলেন, ‘ শুভেন্দুই এই কেন্দ্রে বিপুল ব্যাবধানে জিতবেন। বিজেপি এত ভোটের ব্যবধানে জিতবে যে, ভবিষ্যতে কোনও রাজনৈতিক নেতা জনতাকে বোকা বানানোর জন্য ভূয়ো প্রতিশ্রুতি দেওয়ার আর সাহস পাবেন না।’
এরপর তৃণমূলের মহিলাদের নিরাপত্তার নিয়ে দু’টি ঘটনার উদাহরণ তুলে ধরেন শাহ। তিনি অভিযোগ করেন, সম্প্রতি রাজ্য প্রশাসন অপরাধ সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি নন্দীগ্রামের সাম্প্রতিকতম ধর্ষণের ঘটনার উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘ মমতা যেরকমভাবে লম্বা চওড়া দাবি করছেন, সেই অর্থে এরাজ্যের মহিলারা নিরাপদ নন।’ তিনি বলেন, ‘ এখানে আসার পর আমি একটা দুখঃজনক খবর জানতে পেরেছি।মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বাসভবন থেকে ৫ কিলোমিটারের মধ্যেই একজন মহিলা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ওদিকে মুখ্যমন্ত্রী মহিলা সুরক্ষার বিষয়ে বড় বড় ভাষণ দেন। তাহলে এখানকার পরিস্থিতি কি? যখন তিনি এখানে উপস্থিত রয়েছেন, তখনই মহিলা ধর্ষিত হচ্ছেন।’ এরপরই শাহ প্রশ্ন তোলেন, তাহলে মহিলারা কীভাবে এখানে সুরক্ষিত ও নিরাপদে থাকবেন?
তারপরেই তিনি মমতা বন্দোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্যে করে বলেন, ‘ এক বিজেপি কর্মীর বৃদ্ধা মাকে এমনভাবে মারধর করা হয়েছে, যে তিনি গতকালই মারা গিয়েছেন। তারপরও মমতা দিদি মহিলাদের নিরাপত্তার বিষয়ে বলছেন কীভাবে? বাংলার মানু্ষ এই দ্বন্দ্ব ভালোভাবেই বোঝেন।’
এদিন শাহ নন্দীগ্রামেবিজেপির র্যালিতে যোগদান করেন। সেখানে একটি ট্রাকের মধ্যে ফুল ও বিজেপির পতাকা দিয়ে সাজানো হয়েছিল। সেখানেই অমিত শাহের পাশেই উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। এদিন এই দুই বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতাই পূর্ব মেদিনীপুরের বেথুরিয়া ও রায়পাড়ার চার কিলোমিটারের মধ্যে হওয়া এই বিজেপির র্যালিতে যোগ দেন।