এবার সরাসরি মহিলা ব্রিগেডকে নির্বাচনে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে বুকে সাহস নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর নিদান দিলেন। আগামী ৬ এপ্রিল তৃতীয় দফার ভোট। তারই প্রচারে আজ মুখ্যমন্ত্রী খানাকুলে রয়েছেন। সেখান থেকে তিনি পরিষ্কার বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, ‘আগে ৫০টা আসনে জিতুক বিজেপি! পুরো হেরে গিয়েছে। আর হেরে যাবে বিজেপি। বহু কেন্দ্রে বিজেপির জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। বিজেপি চায় মানুষ ভোট না দিক। বিজেপির কথায় কেউ কেউ দালালি করছেন। কিছু অফিসারও দালালি করছেন। প্রত্যেকদিন পুলিশ অফিসার বদল করা হচ্ছে। নির্বাচনে কোনও নিয়ম মানা হচ্ছে না।’
এরপরই তিনি মহিলাদের এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দেন। ভয না পেয়ে এগিয়ে যেতে তিনি বলেন, ‘আমি কিন্তু কোনও ন্যাকা কান্না সহ্য করব না। বিজেপির লোকেরা আমায় ভয় দেখিয়েছে, মারবে বলেছে, তাই আমি বুথ ছেড়ে পালিয়েছি। এই ন্যাকা কান্না আমি সহ্য করব না। বুথের ভেতর কেউ কারও গায়ে হাত দিতে পারবে না। সাহস না থাকলে আগে থেকে বলে দিন। বুথে বসতে হবে না। আমার কন্যাশ্রী মেয়েরা বসবে। রূপশ্রী মেয়েরা বসবে। মা–বোনেরা বসবে। ছাত্র–যুবরা বসবে। পাড়ায় যাদের আপনারা ঝগড়ুটে মহিলা বলে থাকেন, তাঁদের এজেন্ট করে দাও। দেখি বিজেপি কি করে ভোট লুঠ করে।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘মোদীরা আসবে ভাঁওতা দেবে, পালিয়ে যাবে। সবকিছু বিক্রি করে দিচ্ছে। এখানকার একটা পচা ছেলে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছে। কোনওদিন রাজনীতি করেননি। বড্ড বেশি সাম্প্রদায়িকতার কথা বলছেন। আমি সবাইকে নিয়ে কাজ করি। হায়দরাবাদ থেকে বিজেপির এক বন্ধু এসেছে। ফুরফুরা শরিফের একটা চ্যাংড়াকে নিয়ে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে সাম্প্রদায়িক স্লোগান দিচ্ছে। আর হিন্দু–মুসলমান ভাগ করার চেষ্টা করছে। ওদেরকে একটা ভোটও দেবেন না।’
নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গ তুলে এনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘নন্দীগ্রামের গ্রামে গ্রামে গিয়ে বিজেপি বলেছে তোমার মেয়েকে লুঠ করে নিয়ে যাব, তোমার বাচ্চাকে অপহরণ করে নিয়ে যাব। দিল্লির পুলিশ নিয়ে এসে ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে গ্রামে গ্রামে ঢুকেছে বহিরাগত গুন্ডারা। আবার পুলিশের পোশাক পরিয়ে অনেককে দিয়ে গ্রামে লোকেদের ভয় দেখানো হয়েছে।’ এদিন এই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তিনি। দিল্লির পুলিশ গ্রামে ঢুকিয়ে চমকানোর অভিযোগ এখন তোলপাড় রাজ্য–রাজনীতি।