এবার সরাসরি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যক্তিগত আক্রমণ করলেন মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র। বাংলায় এখন বিধানসভা নির্বাচন দোরগোড়ায়। তাই কেন্দ্রীয় নেতারা এখানে এসে সভা করতে শুরু করেছেন। কারণ বাংলা দখল করাই এখন পাখির চোখ। এই পরিস্থিতিতে সিবিআই এখন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী এবং শ্যালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। বিদেশে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে সূত্রের খবর। এই পরিস্থিতিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সাদা শাড়ি, হাওয়াই চটি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র।
আগামী মার্চ–এপ্রিল মাসে রাজ্যে বিধানসভা ভোট। এই নির্বাচনের প্রাক্কালে নরোত্তম মিশ্র বলেন, ‘উনি এখন কয়লা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তাই জনগণ এখন তাঁকে ভয় পাচ্ছেন। সবকিছু খোলসা হয়ে পড়ছে। উনি মানুষের সামনে মুখোশ পরে থাকেন—হাওয়াই চটি, সাদা শাড়ি, সাধারণ জীবনযাপন এবং উচ্চ ভাবনা এইসব দিয়ে। পেঁয়াজের গা থেকে খোসা ছাড়ানোর মতো সব খসে পড়ছে।’ এই মন্তব্য নিয়ে এখন জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে।
ভাষা দিবসের দিনই প্রত্যয়ী মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘জেলের হুমকি দেখিয়ে আমাদের মাথা নত করানো যাবে না। অতীতে আমরা বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে লড়াই করেছি। তাই আমরা নেংটি ইঁদুরের সঙ্গে লড়াই করতে ভয় পাই না। আমাদের মেরুদণ্ড ভেঙে যায়নি। বাঘের বাচ্চারা কখনও বিড়াল–ইঁদুরকে ভয় পায় না।’ এই মন্তব্যের জবাবে মিশ্র বলেন, ‘গণতন্ত্রে মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে জানিয়ে দেবে, কে বাঘ আর কে ইঁদুর। তাঁদের বিবেক যদি পরিষ্কার থাকে তাহলে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন কেন? তাঁরা পরিষ্কার হয়ে আসে না কেন?’
কয়েকদিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষ করে জানিয়েছিলেন, এখন দুয়ারে সরকার নয়, দুয়ারে সিবিআই। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অবশ্য পালটা বলা হচ্ছে, মধ্যপ্রদেশের ওই নেতা সাম্প্রদায়িক এবং কলঙ্কিত। এই বিষয়ে সৌগত রায় বলেন, ‘আমি তাঁর এই প্রতিক্রিয়ার প্রতিবাদ করছি। তিনি মধ্যপ্রদেশের একজন সাম্প্রদায়িক নেতা। তাঁকে কংগ্রেস থেকে অপসারণ করা হয়েছিল। তাঁকে বাংলার কেউ চেনে না। উনি একজন কলঙ্কিত বিজেপি নেতা।’