এই আসনে তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া ৫০.৭২ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির শমিত দাস পেয়েছেন ৪০.৫১ শতাংশ ভোট।
এই কেন্দ্রে এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অভিনেত্রী জুন মালিয়া।বিজেপির তরফ থেকে দাঁড়াচ্ছেন শমিত দাস। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিআইয়ের তরুণকুমার ঘোষ।
রাজ্যের মানচিত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর। ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি অবিভক্ত মেদিনীপুর থেকে এই জেলা তৈরি হয়। এই জেলায় তিনটি মহকুমা রয়েছে খড়্গপুর, মেদিনীপুর সদর ও ঘাটাল। মেদিনীপুর এই জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। ২৭ মার্চ প্রথম দফায় ভোট হয়েছে।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মৃগেন্দ্রনাথ মাইতি৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১০৬,৭৭৪৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিআই প্রার্থী সন্তোষ রানা৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৭৩,৭৮৭৷ ৩২,৯৮৭ ভোটে জিতেছিলেন মৃগেন্দ্রনাথ।
২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইয়ের সন্তোষ রানা ২২৩ নম্বর মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের রামপ্রসাদ তেওয়ারিকে পরাজিত করেন তিনি। এই আসনে ২০০১ সালে সিপিআইয়ের পূর্ণেন্দু সেনগুপ্ত তৃণমূল কংগ্রেসের গৌরী ঘোষকে পরাজিত করেছিলেন। এছাড়াও ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের দীনেন রায়কে পরাজিত করেছিলেন পূর্ণেন্দু। ১৯৯১ সালে সিপিআইয়ের কামাক্ষাচরণ ঘোষ কংগ্রেসের রাজকুমার মিশ্র, ১৯৮৭ সালে কংগ্রেসের সমীর রায় ও ১৯৮২ সালে তৎকালীন আইসিএসের প্রার্থী সমীর রায়কে এই আসনে পরাজিত করেছিবেন। ১৯৭৭ সালে জনতা পার্টির বঙ্কিমবিহারী পাল সিপিআইয়ের কামাক্ষা ঘোষকে পরাজিত করেছিলেন।
১৯৭১ ও ১৯৭২ সালে সিপিআইয়ের বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায় এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন।১৯৬৭ ও ১৯৬৯ সালে সিপিআইয়ের কামাক্ষাচরণ ঘোষ এই আসনে জিতেছিলেন। তারও আগে ১৯৬২ সালে কংগ্রেসের সৈয়দ শামসুল বারি এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৫৭ সালে পশ্চিম মেদিনীপুর আসনে কংগ্রেসের অঞ্জলি খান জয়ী হয়েছিলেন।