আমরা আর ওর সাথে নেই। আমরা মোদীজির সঙ্গে আছি। অমিত শাহকে সেকথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছি। রবিবার এগরায় বিজেপিতে যোগদানের পর একথা বললেন শিশির অধিকারী। সঙ্গে বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে মুক্ত করতে পারলে বাংলার যুবকরা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পাবে। সঙ্গে তিনি বলেন, বন্দর বানাতে হবে পূর্ব মেদিনীপুরে।
রবিবার এগরায় অমিত শাহের সভায় হাজির থাকার জন্য শনিবারই শিশিরবাবুর হাতে আমন্ত্রণপত্র তুলে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। রবিবার কাঁথিতে জোড়া সভা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভা পেরিয়ে এদিন এগরায় পৌঁছে যান শিশিরবাবু। তৃণমূলের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্ক ছিন্ন করে যোগদান করেন বিজেপিতে।
এর পর তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, আমরা মোদীজির সঙ্গে আছি। আমরা আর নেই ওদের সঙ্গে। এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। গত তিন মাস ধরে ঘরে বসে নিজের লোকদের বলছিলাম যে ভাই মোদীজিকে সমর্থন করো। আজ প্রকাশ্যে বললাম মোদীজিকে সমর্থন করতে হবে।’
তৃণমূলকে নিয়ে কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে রাজি হননি কাঁথির সাংসদ। তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওঁর সভায় আমাদের যেতে বারণ করেছেন। গত তিন মাস ধরে কলকাতা থেকে পয়সা খরচ করে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র নেতাদের পাঠিয়ে আমাকে আমার পরিবারকে অশ্রাব্য – কুশ্রাব্য গালিগালাজ করিয়েছেন’।
তিনি বলেন, ‘শুভেন্দুবাবু যা বলেছেন একই কথা আমারও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে মুক্ত করতে পারলে বাংলার যুবকরা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পাবে’।
শিশিরবাবুর ভবিষ্যৎবাণী, ‘নন্দীগ্রামে শুভেন্দুবাবু বিপুল ভোটে জিতবেন। মোদীজির হাতকে শক্ত করে আমার বন্দরকে নিয়ে আসতে হবে’।
তবে দিব্যেন্দুবাবু বিজেপিতে যোগদান করছেন কি না এব্যাপারে কোনও কথা বলেননি তিনি। বলেন, দিব্যেন্দুবাবু তাঁর কাজ করবেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করবেন জবাব পেয়ে যাবেন।