শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিচালনার পিছনে অমিত শাহের চক্রান্ত রয়েছে বলে দাবি করে শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছিলেন মমতা। রবিবার ২৪ ঘণ্টা কাটার আগে রাজ্যে এসে মমতাকে জবাব দিলেন শাহ। বললেন, জনতা চাইলে ইস্তফা দেবেন তিনি। শাহের এই জবাব ইঙ্গিতবহ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
রবিবার রাজ্যে ভোটপ্রচারে এসে বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্রে এক জনসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ যখন চাইবে তখন আমি ইস্তফা দেব। তবে ২ মে আপনি ইস্তফা দেওয়ার জন্য তৈরি থাকুন।’
রাজনৈতিক মহলের মতে শাহ মনে করিয়ে দিলেন মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রী হয়েছেন তিনি। দেশের অর্ধেকের বেশি রাজ্যে তাদেরই সরকার। এই পরিস্থিতিতে মমতার দাবি তাঁর কাছে গুরুত্বহীন। বরং তৃণমূলের সহায় সম্বল এই পশ্চিমবঙ্গ। ২ মে সেখানে হারলে ঘটিবাটি হারাতে হবে তাদের।
এদিন বসিরহাটের সভাতেও শীতলকুচির ঘটনার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। বলেন, ‘মমতা দিদির প্ররোচনামূলক বক্তব্যের জন্যই শীতলকুচিতে গুলি চালানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’
শাহের দাবি, রাজ্যে মোটের ওপর শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। ২ মে রাজ্যে ক্ষমতায় আসছে বিজেপি।