বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোট তৃতীয়া তপ্ত হয়ে উঠেছে। রাজ্যের ৩১টি আসনে চলছে ভোটগ্রহণ। মঙ্গলবার বেশ কিছু জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ‘অপব্যবহার’ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কড়া সমালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিন জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকেই হিংসার খবর আসতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘খানাকুলে, আরামবাগে প্রার্থীর আমাদের উপর হামলা হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সকাল থেকে আমি ১০০টা এফআইআর করেছি। আপনারাও কোথাও কোনও অভিযোগ পেলে ওই জায়গার কম্যান্ড্যান্টের বিরুদ্ধে এফআইআর করুন।’
এদিন কালচিনির সভা থেকে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নিশানায় ছিল নির্বাচন কমিশন। কারণ একজন মুখ্যমন্ত্রী নিজে ১০০টি এফআইআর করছেন, যা এককথায় ভাবা যায় না। তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী কি করছে? কেন তাঁরা ভোটারদের প্রভাবিত করছে? কে করতে বলেছে? এইসব প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এদিন খানাকুলে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মুন্সি নাজবুল করিম এবং তাঁর এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে জেলা প্রশাসনকে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। আরান্ডি–১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মহল্লাপাড়ায় ২৬৩ নম্বর বুথে আরামবাগ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল খাঁ ও তাঁর এজেন্টও আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। সুজাতা মন্ডল খাঁয়ের পোলিং এজেন্টের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় দফার পর তৃতীয় দফাতেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে কড়া সমালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। ১ এপ্রিল, দ্বিতীয় দফার ভোটে নন্দীগ্রামেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে নিরপেক্ষহীনতার অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। বয়ালের বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নীরব থাকার কারণেই বিজেপি ভোট লুঠ করেছে বলে লিখিত অভিযোগে কমিশনে জানিয়েছিলেন মমতা। এবারও ভোট লুঠের কথা জানিয়েছেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, আইনশৃঙ্খলা, পুলিশ প্রশাসন এখন সবই কমিশন নিয়ে নিয়েছে। কমিশন যদি এত ভালো হয়, তিন দফার ভোটে এখনও পর্যন্ত ৭–৮টা খুন কেন হল?