নিক-প্রিয়াঙ্কার প্রেম কাহিনি অজানা নয়। বয়স আর সংস্কৃতির বিস্তর ফারাক থাকলেও সুখে সংসার করেছেন এই দুই তারকা। নিকের আগেও প্রিয়াঙ্কার জীবনে বহু পুরুষ এসেছেন, তবে বারবারই মন ভেঙেছে নায়িকার। কার্যত প্রেমে ধাক্কা খেয়েই বলিউড ছেড়ে মার্কিন মুলুকে চলে যায় পিগি চপস, তেমনই শোনা যায়।শুরুর দিকে নিক জোনাসকে ভুল বুঝেছিলেন প্রিয়াঙ্কা, ওপেরা উইনফ্রে'কে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তেমনই জানালেন দেশি গার্ল।
সুপার সোল-এর আসন্ন এপিসোডে মার্কিন সঞ্চালিকার অতিথি পিগি চপস। সেখানেই নিকের সঙ্গে সম্পর্কের শুরুর দিনগুলো নিয়ে কথা বললেন নায়িকা। আসলে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে পরিচয়ের আগে থেকেই দেশি গার্লে মুগ্ধ ছিলেন নিক। মেসেজের মাধ্যমে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে যোগাযোগও করেছিলেন। তবে নিককে একদমই সিরিয়াসলি নেননি অভিনেত্রী। সেই কারণ সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রিয়াঙ্কা জানান, ‘সত্যি বলতে আমি মলাট থেকেই বইয়ের ভিতরে কী আছে সেটা বোঝার চেষ্টা করেছিলাম। আমি একদমই সিরিয়ালসি নিইনি নিকের মেসেজ। আমি ভাবছিলাম আমার বয়স এখন ৩৫, আমার বিয়ের বয়স হয়েছে, আমি মা হতে চাই… আর ওর বয়স এখন কুড়ির কোটায়.. এইসব আদতেও ওর জীবনের অংশ হবে না। নিকের সঙ্গে পরিচয়ের আগে পর্যন্ত আমি এই ভুল ধারণা নিয়েই ছিলাম'।
নিকের সঙ্গে নিজের সম্পর্কটা একেবারেই তাঁর বাবা-মায়ের সম্পর্কের প্রতিফলন বলে দাবি করেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি বলেন, ‘আমি বাবা-মা’কে একসঙ্গে জীবন গড়তে দেখেছি। ওইভাবেই আমি বড় হয়েছি। আমার মায়ের বিয়েটা পার্টানারশিপের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠা। বাবা-মা সব কাজ ভাগ করে করেছেন, একসঙ্গে জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত বেঁচেছেন… সংসার গড়েছেন। আমি সত্যি হতবাক যে আমিও এমন একজনকে খুঁজে পেয়েছি দাম্পত্য জীবন গড়বার জন্য, যেমন আমি দেখে বড় হয়েছি'।
২০১৮ সালে মেট গালার আসরেই প্রথমবার নিকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল প্রিয়াঙ্কার । এরপর বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের রাস্তা অবধি পৌঁছতে বেশি সময় লাগান নি নিয়াঙ্কা। সেই বছর প্রিয়াঙ্কার জন্মদিনে, জুলাই মাসে গ্রীসের নিটকবর্তী ছোট্ট দ্বীপ ক্রিটে পৌঁছেছিলেন নিক-প্রিয়াঙ্কা। সেখানেই অভিনেত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন নিক।পরের মাসেই মুম্বইতে এসে আনু্ষ্ঠানিকভাবে এনগেজমেন্ট সেরে ফেলেন এই জুটি। এরপর ধুমধাম করে সেই বছর ডিসেম্বরে যোদপুরের উমেদ ভবনে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং সারেন নিক-প্রিয়াঙ্কা।