প্রথমবার জুটিতে আমির খান ও কিয়ারা আডবানি। এক ব্যাঙ্কিং সংস্থার বিজ্ঞাপনী প্রচারের মুখ হিসাবে দেখা গেল তাঁদের। আর শুরুতেই বিতর্ক সেই বিজ্ঞাপনকে ঘিরে। নতুন বর-কনের বেশে দুর্দান্ত লাগছে আমির-কিয়ারাকে। কিন্তু সেইসব ভুলে সোশ্য়াল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় ওই বিজ্ঞাপনকে ঘিরে, উঠছে হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ।
এবার এই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। আমির-কিয়ারার বিজ্ঞাপনে একহাত নেন তিনি। তাঁর সাফ কথা, যদি কোনও ব্যাঙ্ক উন্নত মানের পরিষেবা দিতে চায়, তাহলে ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে যে দুর্নীতি আছে তা দূর করুক। কিন্তু হিন্দুদের সামাজিক এবং ধর্মীয় প্রথা নিয়ে টানাটানি কেন?
বিজ্ঞাপনের ভিডিয়োতে কী দেখা গেছে? বিয়ের পর নবদম্পতি গাড়ি ঘরে বাড়ি ফিরছে। আমির বলছেন, ‘এই প্রথম এমন হচ্ছে। বিদাই শেষে নতুন বউ কান্নাকাটি করছে না।’ কিয়ারার জবাব, ‘তুমি তো কাঁদছো না’। এরপর গৃহপ্রবেশের মুহূর্তে নতুন বর-কনেকে বরণ করতে প্রস্তুত সকলে। তখনই আসে টুইস্ট! আমিরের প্রশ্ন, ‘কে প্রথম পা রাখবে? তুমি?’ কিয়ারার চটপট জবাব, ‘এই বাড়িতে নতুন কে? তুমি না?' আমির বলেন, ‘নতুন তো আমিই’। ইশারায় নতুন কনে দেখিয়ে দেন, 'তা হলে তুমিই পা রাখো!’
‘জামাই বরণ’-এর এই নতুন প্রথা দেখিয়ে বিজ্ঞাপন পৌঁছে যায় উপসংহারে, জানায় ‘যুগ যুগ ধরে যে প্রথা চলে আসছে, সেটা সেভাবেই চলবে এমনটা কেন?’ ব্যাঙ্কিং পরিষেবাতেও এমনই চমকপ্রদ পরিবর্তন আনার ঘোষণা করেন তাঁরা।
হিন্দু বিয়ের এমন রীতিবদল দেখিয়ে উপসংহারে পৌঁছে যায় বিজ্ঞাপন। ওই ব্যাঙ্কিং সংস্থার দাবি, এমনই বদল তাঁরা এনে দিতে চান।
এই বিজ্ঞাপনী ভিডিয়ো নিয়ে বিবেকের প্রশ্ন, ‘আমি একদম বুঝতে পারছি না সমাজ, ধর্ম এবং সংস্কার নিয়ে চিন্তাভাবনা করার দায়িত্ব ব্যাঙ্ক কবে থেকে নিল? আমার মনে হয় এইউ ব্যাঙ্কের উচিত এই বদলের ডাকটা দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের ক্ষেত্রে দেওয়ার। এই সব বোকাবোকা কাজ করবে আর তার পর চিৎকার করবে হিন্দুরা ট্রোল করছে!’
বিবেকের মতোই নেটিজেনদের একটা বড় অংশও একই প্রশ্ন তুলেছেন। অনেকে লিখেছেন, নির্মাতাদের সাহস আছে ‘নিকাহ’ নিয়ে এমন প্রথাভাঙার বিজ্ঞাপন দেখানোর। কারুর প্রশ্ন, ‘কেন বারবার হিন্দুদের ধর্মীয় এবং সমাজিক প্রথা নিয়েই ছেলেখেলা করেন বলিউড তারকারা?’ ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ককে বয়কটের ডাক তুলেছেন অনেকেই। এই ব্যাপারে এখনও কোনও বক্তব্য় সামনে আনেনি এই ব্যাঙ্কিং সংস্থা।