লাল সিং চাড্ডার ভরাডুবির প্রায় দিন পনেরো পর, আমির খান প্রোডাকশনস (Aamir Khan Productions)-এর তরফে একটি ক্ষমা চাওয়ার ভিডিয়ো পোস্ট করা হল। জৈনদের পবিত্র পরবের পরয়ুশনের (এই সময়ে জেনে বা নে জেনে করে থাকা ভুলে ক্ষমা চাওয়া হয়) শেষ দিন অর্থাৎ সম্বতসরিটি ভিডিয়োটি পোস্ট করে । স্ক্রিনে লেখার সঙ্গে সঙ্গে ফুটে ওঠে একটি ভয়েসওভারও। তবে এই ভিডিয়ো ক্লিপিংসে থাকা হাজারও ভুল এখন চর্চার বিষয়।
ভিডিয়োর ৪ সেকেন্ডে যখন শোনা যাচ্ছে ‘হাম সব ইনসান হ্যায়’ (আমরা সবাই মানুষ), তখন স্ক্রিনে ইনসান (insaan) বানানটাই ভুল। লেখা রয়েছে ইনসেন (insane), যার অর্থ করলে দাঁড়ায় পাগল বা কাণ্ডজ্ঞানহীন। সঙ্গে এই ক্ষমা চাওয়ার ভিডিয়োতে ব্যবহার করা হয়েছে আজব আজব ইমোজি। যা সেটাকে দু:খের না করে হাস্যকর করে তুলেছে। একদম শেষেও হয়েছে ভুল। ভয়েসওভারে চাওয়া হচ্ছে ক্ষমা (‘kshama’-forgiveness) আর লেখা হল শমা (sama)।
আর এই ভুল দেখেই চোখ কপালে উঠেছে নেটপাড়ার। প্রশ্ন উঠেছে প্রায় চার বছর ধরে একটা বাজে ছবি বানানোর ধৈর্য যদি টিমের থআকে, তাহলে কেন প্রুফ চেক করার নেই। সঙ্গে সেই ‘ক্ষমা চাওয়া’ গলাটা, যেটা ব্যবহার করা হয়েছে ভয়েসওভারে তা শাহরুখ খানের নকল করে করা বলে দাবি। এমনকী ব্যাকগ্রাউন্ডেও বাজছে ‘কাল হো না হো’-র ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক।
তাঁদের পবিত্র উৎসবের দিনে এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ দেখে খচে লাল জৈনরা। তাঁরা ভিডিয়োটি সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এমনকী এভাবে ক্ষমা চাওয়া মানে মানুষের অপমান করা বলেও তাঁদের দাবি, যেখানে লেখার গুণগত মানই যাচাই করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, ১১ অগস্ট মুক্তি পায় লাল সিং চাড্ডা। প্রায় ১০০ কোটি বাজেটের এই ছবি থেকে যায় ৬০ কোটিতেই। বিদেশি মিডিয়ায় সিনেমা প্রশংসিত হলেও, ভারতীয় দর্শক বলেছে বোরিং। এই ছবিতে আমির খানের এক্সপ্রেশনের সঙ্গে পিকে-র মিল খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি আমিরের ২০১৫ সালে বলা ‘ভারত অসহিষ্ণু’ হয়ে পড়ছে মন্তব্য ঘিরেও ওঠে বয়কট ট্রেন্ড ছবি মুক্তির আগে। প্রসঙ্গত হলিউড ছবি ‘ফরেস্ট গাম্প’